ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নায়িকা বানাতে পরিচালক আমাকে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন’

সাংবাদিক

বিনোদন জগতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায় গেম শোর সঞ্চালনা করতেন। এরপর থেকে একের পর এক সিরিয়ালে অভিনয় করে কলকাতার ব্যস্ত অভিনেত্রীতে পরিণত হন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই তার জীবনে ছন্দপতন ঘটে।

‘সুখগানের স্বরলিপি’ হঠাৎ করেই বদলে গেলেন। ব্যক্তিগতজীবনে ঝড়, সঙ্গে অভিনয়জীবন থেকে সরে আসা। মেয়েকে নিয়ে এখন দুজনের সংসার। প্রেমিক-স্বামী সৌম্য এখন অতীত।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের নানা বিষয় নিয়ে কথা খুললেন অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই জানালেন টালিউডের এক পরিচালক তার সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নাম করে দিলেন নিশিরাত যাপনের প্রস্তাব। সামনে রেখেছিলেন আরও পাঁচ শর্ত।

স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে কাস্টিং কাউচ বিষয়টির মধ্য় দিয়ে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীই গেছেন। কেউ এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, কেউ আবার চুপ থাকাকেই শ্রেয় বলে মনে করেছেন।

এর আগে ২০০৫ সালের ঘটনা। সেই সময় ছোটপর্দায় স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় গেম শো ‘হাঁউ মাঁউ খাঁও’ খুব ভালো চলছে । এই গেম শোর সুবাদে তখন দর্শকদের চোখের মণি ছিলেন অভিনেত্রী। ঠিক সেই সময় টালিউডের এক জনপ্রিয় পরিচালকের কাছ থেকে সিনেমার নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেলেন স্বরলিপি। সেই সময় পরিচালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষদের নিয়ে প্রচুর কাজ করছেন তিনি। স্বরলিপি যে সিনেমার নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, সেখানে তার নায়ক হবেন যিশু সেনগুপ্ত।

অভিনেত্রী বলেন, সিনেমায় নায়িকা প্রস্তাবের সঙ্গে পাঁচটি শর্ত রেখেছিলেন পরিচালক।  প্রথম চারটি শোনার পর তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, পঞ্চম শর্তটি কী হতে পারে। কিন্তু তিনি এ প্রস্তাব শোনার পর কোনো কিছু বলেননি। বরং পরিচালককে খোলা মাঠে ছেড়েছিলেন খেলার জন্য।

পরিচালকের দেওয়া পাঁচ শর্ত ছিল—প্রথমত যেমন চাওয়া হবে, ঠিক তেমন ডেটে সময় দিতে হবে। দ্বিতীয়ত আউটডোরে যেতে হবে। তৃতীয়ত নাচ জানতে হবে। চতুর্থত আউটডোরে কোনো অভিভাবক নিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপরই বোমা ফাটালেন পরিচালক। স্বরলিপিকে স্পষ্ট বললেন, প্রযোজকদের সঙ্গে রাতে থাকতে হবে।

সেদিন স্বরলিপি বলেছিলেন, এতে লজ্জা পাওয়ার কী আছে— থাকব। তারপরই হাতের ছাতা খুলে নায়িকার ভঙ্গিমায় পরিচালককে অভিনেত্রী বললেন, আপনার আমাকে দেখে বা কাউকে দেখে সহজলভ্য মনে হতেই পারে, অনেকে হয়তো সিনেমা পাওয়ার জন্য সেটি হতেও পারে, সেটি নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমাকে আর কোনো দিন যদি ফোন করেন না— এটি অন্য জায়গায় ঢুকে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
৫০২ Time View

‘নায়িকা বানাতে পরিচালক আমাকে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন’

আপডেটের সময় : ০৫:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বিনোদন জগতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায় গেম শোর সঞ্চালনা করতেন। এরপর থেকে একের পর এক সিরিয়ালে অভিনয় করে কলকাতার ব্যস্ত অভিনেত্রীতে পরিণত হন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই তার জীবনে ছন্দপতন ঘটে।

‘সুখগানের স্বরলিপি’ হঠাৎ করেই বদলে গেলেন। ব্যক্তিগতজীবনে ঝড়, সঙ্গে অভিনয়জীবন থেকে সরে আসা। মেয়েকে নিয়ে এখন দুজনের সংসার। প্রেমিক-স্বামী সৌম্য এখন অতীত।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের নানা বিষয় নিয়ে কথা খুললেন অভিনেত্রী স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই জানালেন টালিউডের এক পরিচালক তার সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নাম করে দিলেন নিশিরাত যাপনের প্রস্তাব। সামনে রেখেছিলেন আরও পাঁচ শর্ত।

স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে কাস্টিং কাউচ বিষয়টির মধ্য় দিয়ে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীই গেছেন। কেউ এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, কেউ আবার চুপ থাকাকেই শ্রেয় বলে মনে করেছেন।

এর আগে ২০০৫ সালের ঘটনা। সেই সময় ছোটপর্দায় স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় গেম শো ‘হাঁউ মাঁউ খাঁও’ খুব ভালো চলছে । এই গেম শোর সুবাদে তখন দর্শকদের চোখের মণি ছিলেন অভিনেত্রী। ঠিক সেই সময় টালিউডের এক জনপ্রিয় পরিচালকের কাছ থেকে সিনেমার নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেলেন স্বরলিপি। সেই সময় পরিচালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষদের নিয়ে প্রচুর কাজ করছেন তিনি। স্বরলিপি যে সিনেমার নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, সেখানে তার নায়ক হবেন যিশু সেনগুপ্ত।

অভিনেত্রী বলেন, সিনেমায় নায়িকা প্রস্তাবের সঙ্গে পাঁচটি শর্ত রেখেছিলেন পরিচালক।  প্রথম চারটি শোনার পর তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, পঞ্চম শর্তটি কী হতে পারে। কিন্তু তিনি এ প্রস্তাব শোনার পর কোনো কিছু বলেননি। বরং পরিচালককে খোলা মাঠে ছেড়েছিলেন খেলার জন্য।

পরিচালকের দেওয়া পাঁচ শর্ত ছিল—প্রথমত যেমন চাওয়া হবে, ঠিক তেমন ডেটে সময় দিতে হবে। দ্বিতীয়ত আউটডোরে যেতে হবে। তৃতীয়ত নাচ জানতে হবে। চতুর্থত আউটডোরে কোনো অভিভাবক নিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপরই বোমা ফাটালেন পরিচালক। স্বরলিপিকে স্পষ্ট বললেন, প্রযোজকদের সঙ্গে রাতে থাকতে হবে।

সেদিন স্বরলিপি বলেছিলেন, এতে লজ্জা পাওয়ার কী আছে— থাকব। তারপরই হাতের ছাতা খুলে নায়িকার ভঙ্গিমায় পরিচালককে অভিনেত্রী বললেন, আপনার আমাকে দেখে বা কাউকে দেখে সহজলভ্য মনে হতেই পারে, অনেকে হয়তো সিনেমা পাওয়ার জন্য সেটি হতেও পারে, সেটি নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমাকে আর কোনো দিন যদি ফোন করেন না— এটি অন্য জায়গায় ঢুকে যাবে।