আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সংখ্যা আনুপাতিক দুর্বল জনগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, সকল রাজনৈতিক দল, বিদেশি দূতাবাস, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রশাসনের প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবি সংগঠন গুলোর সাথে সাক্ষাৎ করবেন বাংলাদেশ সনাতনী কল্যাণ সংঘের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক পূলক আচার্য্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আনুপাতিকভাবে ধর্মীয় সংখ্যা লঘু মানে দুর্বল জনগোষ্ঠী নয়। বরং অসহায় নিরীহ মানুষ গুলোয় সংখ্যা লঘু। এ মানুষ গুলো নির্বাচনের আগে ও পরে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। এমন বাস্তবতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দশ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকপত্র প্রদান ও আলোচনার জন্য সংগঠনের সভাপতি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির শ্যালক কানায় লাল ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সুমন ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুমন ভট্টাচার্য্য জানান, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত প্রতিনিধির সাথে মুঠোফোনে কথা বলে সাক্ষাৎ এর সময় নির্ধারণ এবং এ বিষয়ে লিখিত স্মারক পত্র প্রদান করা হবে।
তিনি আরও জানান, সংগঠনের নেতৃত্ব গভীর ভাবে অতীতের অনুষ্ঠিত নির্বাচন কালীন ইতিহাস বিশ্লেষণ পূর্বক মনে করেন, প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের সময় সাধারণ জনগোষ্ঠির নিরীহ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য। আমরা নির্যাতিত হতে পারে এমন জনগোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবো। তবে কোন ভাবে সেটি ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠী বিবেচনায় নয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিগত নির্বাচনে নিরীহ সংখ্যা আনুপাতিক দুর্বল জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতনের একটি চিত্র তলে ধরা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ, মানবাধিকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করে পুনরায় যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়টির দিকে জোর দেওয়া হয়।