নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের (ইএসডিএম) উদ্যোগে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২ এবং বিভাগের ১০ বছর পূর্তি’ উদযাপন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ জুন) এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পরিবেশ বিষয়ক প্রদর্শনী, পরিবেশ পদক প্রদান, ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ইএসডিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম,প্রধান
পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম,মূখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান ও নোবিপ্রবি বিএনসিসির পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন, ‘রুপকল্প ২০২০-৪১ বাস্তবায়ন সহ পরিবেশ রক্ষায় নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। পরিবেশ রক্ষায় ডেল্টাপ্ল্যান বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতায় বহুদূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। সকল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক অন্যান্য সূচকেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি ঐতিহাসিক অর্জন। স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে, যা আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক অন্যান্য সূচকেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি ঐতিহাসিক অর্জন। স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে, যা আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের তৈরি পরিবেশ বিষয়ক রুপকল্প ও উদ্যোগ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। দেশের পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের তৈরি করতে হবে। তাহলেই আমরা বাসযোগ্য একটি দেশ পাবো। আয়োজকদের আবারও ধন্যবাদ- জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’।
নোবিপ্রবির উপাচার্য বলেন, ‘পরিবেশ বিজ্ঞান শিক্ষা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা এখন সবাই অনুভব করতে পারছে। বাংলাদেশও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ শিক্ষার দিকে জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকে তার মধ্যে নোবিপ্রবি অন্যতম। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে যার অবস্থান থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১০ বছর পূর্তিতে সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি- জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’।
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমাদের এই একটিই পৃথিবী, একে রক্ষায় আমাদের সকলকে বিশেষ করে পরিবেশের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর মত বড় ধরনের স্থাপনা তৈরির সক্ষমতা আমাদের রয়েছে, তাই এখন এর পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ রক্ষার দিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, এ দেশের মানুষকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেরস ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ, ইএসডিএম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।