পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একযোগে সারাদেশে দেখানো হবে। এদিকে ঐতিহাসিক এ দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ৬৪ জেলায় উৎসব করা হবে। এছাড়া ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ কয়েকটি জেলায় ২৫ জুন থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে।
অন্যদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনীর দিন রাজধানীর হাতিরঝিলে লেজার শোয়ের আয়োজন করা হবে। সঙ্গে আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
শুক্রবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে ওই এলাকায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে দেখানোর ব্যবস্থা করতে ডিসিদের ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
এদিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাতিরঝিলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর পাশাপাশি লেজার শোয়ের আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৯ জুন পর্যন্ত তাদের অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী দিনগুলোর অনুষ্ঠান হাতিরঝিল ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা অন্য কোনো সুবিধাজনক জায়গায় হতে পারে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন জেলায় সুবিধামতো কোনো স্থানে উৎসবমুখর পরিবেশে দেখানোর জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে জায়গা ঠিক করতে হবে। কয়েকটি জেলায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা। তবে কোনো জেলা চাইলে একাধিক দিনও অনুষ্ঠান করতে পারবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে লিখিত নির্দেশনা পাওয়ার পর বিস্তারিত কর্মসূচি ঠিক করা হবে।