পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, উপাচার্য নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে।
অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। মঞ্জুরি কমিশন ২০২০ সালের ২৩ মার্চ আইনের খসড়া পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। ২০২০ সালের ১৬ জুলাই খসড়া আইনের ওপর মতামত দিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়া পরীক্ষা করে ফেরত পাঠায়।
পরে ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নিয়ে খসড়াটি সংসদে উত্থাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের ভোটিং হয়। প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে বিলটি সংসদে উত্থাপনের অনুমোদন দেন।
১৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে বিলটি উত্থাপিত হলে সংসদের স্থায়ী কমিটিতে তা পাঠানোর অনুমোদন হয়। বিলটি ‘আইন’ আকারে পাসের জন্য এ বছরের ২৯ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে উত্থাপন করেন এবং তা পাস হয়। এ ধারাবাহিকতায় পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা এলাকার নাজিরপুর-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমি পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জাতির পিতার নামে পিরোজপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে একটি লিখিত আবেদন করেছিলাম। তারই সুফল এখন আমরা পাচ্ছি।