বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পাঁচ বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশি দিনমজুরের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রবাসী স্বামী জানতে পেরে মামলা করায় পালিয়ে গেছেন স্ত্রী।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই বগুড়ার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত পার্থ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কাদাই গ্রামের দুলু তরফদারের ছেলে নান্নু তরফদার (৪৫)। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার কাদাই গ্রামের এক যুবক ২০১৭ সালে মালয়েশিয়া যান। তার স্ত্রী ও সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকেন। প্রবাসী স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে প্রতিবেশী নান্নুর সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক গড়ে তুলেন নান্নু। তবে কৌশলে সেই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে আসেন। এর পাশাপাশি তার স্বামীর পাঠানো ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় নান্নু।
এদিকে ওই যুবক ২০২২ সালের ১৭ মে মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে ফিরে তার স্ত্রীর কাছে টাকার হিসেব চান। এ সময় স্ত্রী টাকার হিসেব নিয়ে টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত নান্নুর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি টের পান প্রবাসী যুবক। তবে হঠাৎ করে স্ত্রীর সঙ্গে নান্নুর শারীরিক সম্পর্কের ৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এবং ৯টি নগ্ন ছবি প্রবাসী যুবকের স্বামীর হাতে আসে। ইতোমধ্যে ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হওয়ার ভয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ স্বামী, সন্তান ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই বগুড়ার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত পার্থ সরকার জানান, এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই প্রবাসী যুবক বাদী হয়ে নান্নুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বগুড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেন। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলমান। ভুক্তভোগী গৃহবধূ ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন। তবে ওই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।