স্টাফ রিপোর্টার:
জোরপূর্বক জমি দখল করতে মাওলানা সোলায়মান মিয়াজী গংদের বিরুদ্ধে মোঃ আহসানুল ইসলামের জমিতে ফল ফলাদিগাছ কর্তন ও বাড়িঘরে হামলা এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে জানা যায় চাঁদপুর- ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালুথুবা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাওলানা সুলাইমান মিয়াজী (৭৫) গংরা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
একই এলাকায় বসবাসরত মোঃ আহসানুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা তাদের খরিদকৃত সম্পদ ভোগ দখলে বসবাস করে আসছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় মোঃ আহসানুল ইসলাম মিজির ক্রয় কৃত ছয় শতাংশ জমিতে (বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ) জোরপূর্বক বোগদখল করতে মাওলানা সুলাইমান মিয়াজির , ছেলে মনির মিয়াজি, শরীফ মিয়াজী তাহমিদুল ইসলাম (কাহার) মিয়াজী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সহ বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জমির মালিকগণ তাদের এই জোরপূর্বক অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা কে বাধা দেওয়ায় মোঃ আহসানুল ইসলাম মিজিকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোঃ আহসানুল ইসলাম ( ৪৮) পিতা মৃত আনামীয়া মিয়াজি জানায় আমি খরিদ সূত্রে এই জমির মালিক, কয়েক মাস আগে মাওলানা সুলাইমান মিয়াজী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে এই জমি ওনার বলে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। আমি ভয় পেয়ে এলাকার ময় মুরুব্বিদেরকে জানাই তারপর উনারা একাধিকবার মাওলানা সুলাইমান মিয়াজী কে নিয়ে বাড়িতে বৈঠক বসে। উনি কারো কথা গণ্য পাত না করে বাহিরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আসে। এলাকায় যখন সালিশ বসে তিনি এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বির কথা পাত্তা না দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চলে যায়।
এলাকার মুরুব্বীরা তাকে বিভিন্নভাবে খবর পাঠালে সে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা সোলাইমান মিয়াজী (৭৫) পিতা মৃত আব্দুল গনি মিয়াজী, তার ছেলে মনির মিয়াজী ( ৪৫) শরীফ(৩৫) ,তাহমিদুল ইসলাম (কাহার) (২৮) উনি প্রখ্যাত একজন শিবির কর্মী,ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বসতঘরের ফলফলাদি গাছ কর্তন ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করন।
২ নং বালুবা সাবেক যুবলীগের প্রেসিডেন্ট সেলিম মিয়াজ (৬০) পিতা মৃত নুর ইসলাম মিয়াজী জানায় মাওলানা সোলাইমান নিয়াজী এলাকার বিভিন্ন সাধারণ মানুষের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এলাকার মানুষ ওনাকে কুখ্যাত ভূমিদস্যু হিসেবে জানেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নিরীহ এবং সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন
সর জমিনে গিয়ে মাওলানা সুলাইমান মিয়াজীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই জায়গা আমার ছিল এ কারণে আমি ফল ফলাদির গাছ কর্তন করি এবং বেড়া ভাঙচুর করে ফেলে দেই কিন্তু আমার এই কাজটি করা ঠিক হয়নি ।
ভুক্তভোগী মোঃ আহসানুল ইসলাম চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলার জন্য অভিযুক্ত কারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই ।