নিজস্ব প্রতিবেদক: রিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ, মো. আব্দুর রহমানকে (নৌকা) জেতাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা। মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে।
এরই মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান।
কৃক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উনয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে প্রতিটি নেতাকর্মী নিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।
এর আগে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন নৌকার প্রতিকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমানের হাতে ফুলের তোড়া হাতে দিয়ে তার প্রতীক নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ করি, তিনি যাকে যোগ্য মনে করেছেন তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। জননেত্রীর প্রতি আস্থা রেখে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।
বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করছি। সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সায়ফার জানান, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ চলছে। শতশত নৌকাপ্রেমী মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করছেন নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত।
এদিকে এ তিন উপজেলার গ্রামগঞ্জে ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচনী উদ্দীপনা রয়েছে। চায়ের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট আলোচনা। অতি সাধারণ মানুষেরা মনে করেন, বর্তমান সরকারের সময়ে গ্রামগঞ্জের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ সময়ে যা হয়নি, তার থেকে বহুগুণ বেশি উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান সরকারের সময়ে।
মধুখালী উপজেলার বাসিন্দা মোমরেজ মোল্লা, আব্দুর রশীদসহ কয়েকজন জানান, এক সময় এলাকায় পাকা সড়ক ছিল না। চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। আব্দুর রহমান সংসদ সদস্য থাকাকালে সড়ক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় মানুষ তার সুফল ভোগ করছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের দাবি, এতদাঞ্চল নিচু এলাকা হওয়ায় উপজেলাটির বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকতো। স্বাভাবিকভাবেই এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। আব্দুর রহমান দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে থাকাকালে প্রায় প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছেন।
তারা জানান, আলফাডাঙ্গা উপজেলার মানুষ নৌকার পাগল, ফলে যে কোনো নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোট নৌকায় প্রদান করেন। ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ ব্যতিত অন্য কোনো দলের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে এই এলাকা ছিল উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই সব ধরনের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই নৌকাতেই ভরসা রাখতে চান তারা।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-১ আসনে পুরুষ ভোটার ২,৪১,০২৬ জন, নারী ভোটার ২,৩৩,৮৭৫ জন ও হিজড়া ভোটার ০১ জন, মোট ৪,৭৪,৯০২ জন ভোটার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ১৯৬টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।