বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:রুমি নোমান
পবিত্র ঈদ-উল-আজহার ছুটির পর দাফতরিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। তিন দফা দাবিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকাল ৯টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি করেন। একইসঙ্গে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারিও দেন।
তাদের দাবিগুলো হলো, চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে ৬২ বছরে উন্নিত করণ, কর্মঘন্টা সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটার পরিবর্তে আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত নির্ধারণ এবং বেতন স্কেলের নীতিমালা পরিবর্তন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫ হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন কর্মকর্তারা। তাদের আন্দোলনের পেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। তবে এতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চাকরীর সময়ের উপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। একইসাথে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হলে এ নীতিমালা আবারো সংশোধনের কথা জানায় প্রশাসন।
পরে নীতিমালায় বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী এই স্কেল থেকে বঞ্চিত কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ২৫৪ তম সিন্ডিকেট সভায় সকলের জন্য একই বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়। ঐ সিন্ডিকেটে হওয়া নীতিমালায় পদোন্নতির দুই বছর পর স্কেল কার্যকর হওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। ফলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
পরে এই নীতিমালা পরিবর্তনসহ চাকরীর সময়সীমা বৃদ্ধি ও অফিস সময় পরিবর্তনের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে টানা ১১ দিন কর্মবিরতি করেন কর্মকর্তারা। পরে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। এসময় কর্মকর্তা সমিতির দুজন সহ এ বিষয়ে একটি কমিটি করে দেন ভিসি। এর চারমাস পর গত ২১ জুন দাবি নিয়ে ভিসির কাছে যান কর্মকর্তারা। সেখানে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় পরে চারদিন কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে শনিবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক কার্যক্রম শুরু হলে ফের কর্মবিরতি শুরু করে তারা।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা কর্মবিরতি করছি। তবে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমরা কর্মবিরতির বাইরে রেখেছি। ভিসি স্যার আশ্বাস দিলেও এখনো আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।