৯, সেপ্টেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪০৩তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’বোর্ড অফ ডিরেক্টর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমিজ আহমেদ সুলতান,রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী আমাতুন নূর ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, নীলফামারীর জল ঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা ও রংপুর থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শ এবং মূল্যবোধকে সবসময় ধারণ করতেন। নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিককে তিনি শ্রদ্ধা করতেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ ও মূল্যবোধ থেকে এক পা পিছু হটেননি। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তার উৎস ছিল স্বদেশপ্রেম; ছিল খাঁটি, নির্ভেজাল, নিরঙ্কুশ ও আপসহীন স্বদেশপ্রেম। সেই স্বদেশপ্রেম থেকেই তাঁর রাষ্ট্রচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেছে।স্বদেশপ্রেমের আবেগেই তিনি প্রথম যৌবনে পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই তার সবল কাণ্ডজ্ঞানের বলে পাকিস্তানের প্রতারণাটি তিনি ধরে ফেলতে পেরেছিলেন। স্বদেশপ্রেম মানে তো স্বদেশের মাটি, মানুষ, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য— সবকিছুর প্রতিই প্রেম।
রমিজ আহমেদ সুলতান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্রটিকে আধুনিক ও প্রগতিশীল করে তোলার নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, সে নীতিমালাকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতেই আত্মবিসর্জন দিয়েছেন।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলার জনগণ অকৃত্রিমভাবে ভালবাসতো। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমি ক্ষমতা অনেক পেয়েছি, এমন আর কেউ পায়নি। সে ক্ষমতা হলো জনগণের ভালোবাসা ও নজিরবিহীন সমর্থন।’
আর্জিনা খানম বলেন, রাজনীতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গেছে ত্যাগের পথে, দুঃখ বরণের পথে। দুঃখ তাঁকে বিচলিত করতে পারেনি, দেশের দুঃখ বরণের ব্রত তাঁর নিজের দুঃখকে তুচ্ছ করে দিয়েছে।
আমাতুন নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু আবাল্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি নিয়েই ভাবনাচিন্তা করেছেন। তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ছিল বাঙালির স্বাধীকার অর্জন করা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান ।