বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি কারন তিনি নিজে স্বপ্ন দেখতেন অন্যকে স্বপ্ন দেখাতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন তা নিজে একা ভোগ করার জন্য নয়। সমস্ত বাঙালির স্বপ্নের বোঝা কাঁধে নিয়েছিলেন, উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ। তিনি আমাদের ভালোবাসতেন, বিশ্বাস করতেন, কিন্তু আমরা বাঙালি তার ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারিনি ।পিতা হয়ে বাবার বুকে গুলি চালাতে একটু মনুষত্ব বাধা দেয়নি।
বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুভূতি ও অন্তরাত্মায় মিশে আছেন। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির ঠিকানা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে নিজ সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের ‘আপনার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা কী’ এ প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি।’ ডেভিড ফ্রস্টের ‘আপনার বড় দুর্বলতাটা কী’- এ প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসি।’ এ কথার মাধ্যমে জনগণের প্রতি জাতির পিতার অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের প্রতি বিশ্বাসেরও বিষয়টিও সুস্পষ্ট। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনটাই ছিল যেন মানুষকে ভালোবাসার। দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম দর্শন।
তিনি শুধু জনগণকে ভালোই বাসতেন না, বাংলার জনগণকে নিয়ে তিনি গর্ববোধও করতেন। সে কারণেই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে কবিগুরুর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কবিগুরুর আক্ষেপকে আমরা মোচন করেছি। বাঙালি জাতি প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা মানুষ, তারা প্রাণ দিতে জানে। এমন কাজ তারা এবার করেছে, যার নজির ইতিহাসে নাই। ‘হে কবিগুরু আপনি এসে দেখে যান, আমার ৭ কোটি বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের দিন বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, আমি সব ত্যাগ করতে পারি, তোমাদের ভালোবাসা ত্যাগ করতে পারব না।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে যেভাবে ভালবেসেছে তা পৃথিবীতে বিরল । তাইতো তিনি বঙ্গবন্ধু তাইতো তিনি বিশ্ববন্ধু তাইতো তিনি আমাদের জাতির পিতা । জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, দেশরত্ন শেখ হাসিনা।