আজ সোমবার, ১৮,জুলাই,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৪৮তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক আবু সালেক খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা-তুজ-জোহরা ।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গবেষক মোঃ মাজহারুল আনোয়ার,রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার ।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পরম দয়ালু।
গবেষক আবু সালেক খান,জর্জ বার্নাড শ’র উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ” সব কবিগণ তাঁদের নিজের সাথে কথা বলেন আর সমগ্র জগৎ তা শুনতে পায়।” গবেষক সালেক খান আরো বলেন ” আমি বলি বঙ্গবন্ধু একজন রাজনীতির কবি যিনি সবার উদ্দেশে কথা বলতেন এবং সমগ্র জগৎ তা শুনতে পেতো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের স্থপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক এতে কোন সংশয় বা দ্বিধা করার সুযোগ নেই।”
প্রশান্ত কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সময় তৎকালীন সেনাপ্রধানকে আইনের আওতায় না আনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
গবেষক ফারহানা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন;এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ কিংবা সংশয়ের অবকাশ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মিথ্যা ও বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টি করে নতুন প্রজন্মকে দ্বিধাদ্বন্দ্বের ঘুরপাকে ফেলার চক্রান্ত চলছে।
শামসুন্নাহার লাভলী বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন । সে সময় বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধ বিরাজমান থাকায় একটি স্বাধীন এবং জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের প্রতি অধিকতর মনোযোগী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শুধু আলোচনার টেবিলের সীমাবদ্ধ করে রাখলে চলবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, জানিপপ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় যেভাবে সেমিনার আয়োজন করছে তেমনি ভাবে স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রুটিন মাফিক বঙ্গবন্ধু চর্চার আয়োজন করা যেতে পারে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি ও রাজশাহী থেকে ড. মাহবুবুল হক।