Monday , 13 May 2024
শিরোনাম

বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (১২ জুন) বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। দেশে চিনি ও পেঁয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫-২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮ দশমিক ১১ লাখ মেট্রিক টন (প্রকৃত উৎপাদন প্রায় ৩৭,৪৯ লাখ মেট্রিক টন তন্মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ক্ষতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট থাকে ২৮ দশমিক ১১ লাখ মেট্রিক টন)।

টিপু মুনশি বলেন, চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগন্য হওয়ায় প্রায় ৯৯ শতাংশ চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশ বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবে আমদানি উন্মুক্ত না থাকলে স্থানীয় সরবরাহে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় মূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমদানি উন্মুক্ত থাকলে ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই ২০২২ থেকে ২৭ মে ২০২৩) পর্যন্ত চিনি আমদানির এলসি ওপেনের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন এবং পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৬৩ লাখ মেট্রিক টন। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য গত তিন মাসে প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ১৬০ ডলার বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য গত এক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বেড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ার কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও আংশিক আমদানি নির্ভরতা রয়েছে জানান তিনি।

Check Also

পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব: বিজেআরআই মহাপরিচালক

পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) মহাপরিচালক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x