তিনটি নতুন প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ১২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাংক। টাকার অংকে এই অর্থের পরিমাণ সোয়া ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এ অর্থায়নের বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। এ সভায় আগামী পাঁচ বছর (২০২৩-২৭) বাংলাদেশের ঋণসহায়তার কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বিষয়টি জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার মধ্যেই বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণ অনুমোদনের খবর এলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুষ্টি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের জন্য ৫০ কোটি ডলারের অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। এরফলে কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা, উদ্যোক্তা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার সহায়ক হবে।
আরও ৫০ কোটি ডলার দেয়া হবে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন প্রকল্পে। এই প্রকল্প সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
বাকি ২৫ কোটি ডলার দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে একটি ক্ষুদ্র প্রকল্প করা হবে। যা এ খাতকে সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে, দূষণ কমাবে এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) সঙ্গে মিল রেখে বিশ্ব ব্যাংকের ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে উচ্চ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১ মে সংস্থার ওয়াশিংটন সদর দপ্তরে এ অনুষ্ঠান হবে। তার আগে বাংলাদেশের ৩টি প্রকল্পে ১২৫ কোটি টাকা অর্থায়নের বিষয়টি অনুমোদন করল বিশ্বব্যাংক।