স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির শোক ও স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে হবে। গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং দর্শন ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউএন ডিজএ্যবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রাজনীতি বিশ্লেষক খোন্দকার শরীফ। সভায় কি-নোট স্পিকার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন সাবেক উপাচার্য ও জানিপপ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ এর ডেপুটি ডিরেক্টর নূর ই আলম ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ই-রিসোর্স বিডি’র সিইও(পাবলিকেশন্স) ইয়াসমিন আরা, বাংলা ৫২ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আওলাদ হোসেন ।
প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শাসনের নিষ্পেষণে পূর্ব বাংলার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তখন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ও তার সরকার যে সহায়তা করেছিল তা বাংলার মানুষ কখনো ভুলবে না। তিনি আরো বলেন,সবার সঙ্গে মিত্রতা, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়।এই নীতিতে বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছিলেন।
আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বতন্ত্র পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি অবদান রেখে গেছেন।এই সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশের সরকার প্রধানের উচিত বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য ঐক্যমতে পৌঁছানো।
খোন্দকার শরীফ বলেন, পাকিস্তানপন্থি কিছু বিপদগামী লোক অযথা ভারত নিয়ে কুৎসা রটায়। এর বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।আঞ্চলিক আন্তঃদেশীয় সড়ক যোগাযোগ চালু করার বিষয়টি উভয় দেশের সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এই যোগাযোগ শুরু হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্প্রসারণে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হবে। এটি চালু হলে শুধুমাত্র ভারত নয়, আমাদের আশেপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
ইয়াসমিন আরা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ৎসাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে। এই বন্ধনের সূচনা করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
কাজী আওলাদ হোসেন বলেন,সাংস্কৃতিক দিক থেকে দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দল যেমন ভারতে তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করে, তেমনি ভারতীয় সাংস্কৃতিক দলও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম উপস্থাপন করে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, টাঙ্গাইল থেকে ইউসুফ তাজ, সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম খান, জানিপপ’র ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ফেরদৌস ওয়াহিদ বাপ্পি ।
সভায় বক্তারা জাতির পিতার হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু কমিশন এবং রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক এবং ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক ড. দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন,