মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন ছেলে শাহ্ আলমকে হত্যার দায়ে পিতা মোজাফ্ফর আহাম্মদসহ পরিবারের অপর তিনজন আসামি আরিফ উল্লাহ, আছমা সিদ্দিকা ও শাহনাজ বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। ২৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আরিফ উল্লাহ ও শাহনাজ বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং আসামি মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও আছমা ছিদ্দিকা পলাতক রয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফ উল্লাহ (৩৫), আছমা ছিদ্দিকা (২৮), মোজাফ্ফর আহাম্মদ (৬৫) জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মন্ডল্যা ঘোনা এলাকার বাসিন্দা এবং আসামি শাহনাজ বেগম কক্সবাজারের রামু’র কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ তুলাতলী এলাকার মো.হোসেন এর স্ত্রী।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, আসামি মোজাফ্ফর আহাম্মদ ভিকটিমের পিতা, আরিফ উল্লাহ্ ভিকটিমের ভাই, আছমা ছিদ্দিকা ভাইয়ের স্ত্রী এবং শাহনাজ বেগম ভিকটিমের বোন।
তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালে ৯ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৭টার দিকে বসত ভিটা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে আসামিরা দা, হাতুড়ি, লোহার রড ও গাছের লাঠি নিয়ে ভিকটিম শাহ্ আলমের বসতঘরে প্রবেশ করে ভিকটিম শাহ্ আলমের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারে এবং রড ও গাছের লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। পরে শাহ্ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণের পর ২০১৬সালের ১৮ডিসেম্বর শাহ্ আলম মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনার একদিন পর শাহ্ আলমের স্ত্রী আরফাতুন্নেছা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর এ ঘটনায় আরিফ উল্লাহ, আছমা সিদ্দিকা, মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও শাহনাজ বেগমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদিকে মামলার প্রেক্ষিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর এ রায় দেন, মামলার বাদী আরফাতুন্নেছা প্রকাশ আরেফা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম বলেন, এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। আদালতের এই রায়ে আমরা সবাই সন্তুুষ্ট