Wednesday , 8 May 2024
শিরোনাম

একে একে সব দল বিএনপিকে তালাক দিবে : জাহাঙ্গীর কবির নানক

জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত

সম্প্রতি জামায়াত আমিরের বক্তব্যে ২০ দলীয় জোট ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জনকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘কেবল তো শুরু!! একেকটি করে দল আপনাদের (বিএনপি) ছেড়ে যাচ্ছে। এখনও তো নিজেদের নেতাকর্মীরা আপনাদের তালাক দেওয়া শুরু করে নাই। কিন্তু সঠিক সময় আসলে আপনাদের দলের ভিতরের যেসব মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আছে তারাও খুনি খালেদা ও পলাতক তারেক রহমানকে তালাক দেওয়া শুরু করবেন। তখন কোনো দিশা পাবেন না মির্জা ফখরুল সাহেব।’

সোমবার (২৯ আগস্ট) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন।আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা সামরিক উর্দি পড়া জিয়াউর রহমান যে হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করে,সেই নির্বাচনে কাউকে ভোট দিতে হয়নি।’

“৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী জিয়াউর রহমান স্বীকৃত খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দিয়ে এবং তাদের নিয়ে বাংলাদেশে ফ্রিডম পার্টি গঠন করেছেন। বিদেশি সাংবাদিকরা জিয়াউর রহমানের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই ভাষণ শুনলে আমাদের পেটানো হতো। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তারা ভয় পায়। ওরা ভাবতে পারে নাই যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবে” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ করেছেন। একইভাবে পদ্মা সেতু,কর্ণফুলী টানেল,মেট্রোরেলসহ সকল উন্নয়ন প্রকল্প সফলতার সাথে শেষ করতে পারাও প্রমাণ করে যে তিনি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারবেন।’

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাতেই পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের সূচনা করেছেন। পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর প্রায় একহাজার সদস্যকে হত্যা ও গুম করার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করে। এর মাধ্যমে অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের সূচনা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট নিয়ে বিএনপি গঠন করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত করে জিয়া। জিয়াই প্রথম বই খাতার পরিবর্তে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অর্থসহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে। ছাত্রদেরকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত করার মূল হোতাও এই জিয়া। পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও এই একই পথে হেঁটেছেন।’
বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখালে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই করা দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যখন পিতার লাশ দেখতে কন্যা দেশে আসতে পারে নাই। বিচারের বাইরে ২১ বছর ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড।পিতার লাশ দেখতে কন্যা দেশে আসতে পারে নাই। বিচারের বাইরে ২১ বছর ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। মানবাধিকার কমিশন তখন কোথায় ছিলেন? আবারো যদি ২০১২-১৩ সালের মত ষড়যন্ত্রকারীদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করেন তবে তা মানুষরা রুখে দিবে।’

উল্লেখ্য,আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান জয়,সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

Check Also

১৩৯ উপজেলায় আজ ভোট, ইসির যত প্রস্তুতি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত হবে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x