মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বান্দরবান থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাবৈরুং ত্রিপুরা নামের ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ৪৮ বছর বয়সের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতার ও আনিসুল হক সুজন ঠিকাদারের সাইট ম্যানেজার রেজাউল করিম টিপু বিরুদ্ধে।
অপহরণ ব্যক্তি রেজাউল করিম টিপু (৪৮),সে বাইশারী ইউনিয়নে ক্যাথোয়াই পাড়া মৃত কবির মাস্টার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মোঃ রেজাউল করিম টিপু থানচি উপজেলার রেমাক্রি দলিয়ান পাড়ার সরকারি একটি রাস্তার কাজে ২ মাস ধরে কেরানীর কাজে দ্বারিত্বরত ছিলেন বান্দরবানের আনিসুল হক সুজন নামে ঠিকাদার কাজে। এর আগেও কয়েকবার বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে পরিচয় দেয় ও দেখা সাক্ষাৎ হতো বিসম্ভ ত্রিপুরার সাথে এবং পরিচয় দিতো অনেক টাকার অংঙ্কের মালিক।
ভুক্তভোগী মা এলিজাবেদ ত্রিপুয়া বলেন, রেজাউল করিকে অনেকবার বারণ করেছি। মেয়ে সাথে কথা না বলার জন্য। পরে চুরি করে আমার মেয়েটিকে চাকরী প্রলোভন দেখান রেজাউল করীম নামে যুবলীগ নেতা। সেই চাকরি প্রলোভনে বাড়িতে বাবা মাকে না জানিয়ে ও নিজ জন্ম সনদ নিয়ে এসে তার সাথে চলে যান চাকরী উদ্দ্যশে। পরে পরিবার খোজাখোজি না মিললে হতভঙ্গ হয়ে পড়ে অজ্ঞাত অধীনে। কিন্তু কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় মেয়ের বাবা দরিদ্র্য বিসম্ভ ত্রিপুরা রেমাক্রি দুর্গম এলাকা হতে ২ দিনের যাত্রা শেষে ২৬শে মার্চ শনিবার সকালে বান্দরবান সদরে মেয়েকে খুজতে চলে আসেন। এমনকি এই বিষয়টিকে গণমাধ্যমকে কান্না কন্ঠস্বরে বুঝিয়ে বলেন। এব্যাপারে কথা হয় মেয়ে বাবা’র বিসম্ভ সাথে। তিনি আবেগ ও কান্না স্বরে বলেন, আমার ছোট মেয়ের সাথে কয়েকবার কথাবার্তা বলতে দেখলে আমি রেজাউল করিম টিপুকে নিষেধ করি এতে সে আমার কোন কথার কর্নপাত করে নাই। ১৮ই মার্চ সকালে আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে না দেখে পাড়ায় খোজ খবর নিলে পাড়া কারবারির স্ত্রী খুঁফইরং ত্রিপুরা আমাকে জানায় আমার মেয়ে হাবৈরুং ত্রিপুরা কে চাকরির কথা বলে রেজাউল করিম টিপু সকালে নৌকাযোগে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ব্যপারে ঠিকাদার আনিসুল ইসলাম সুজক সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনোনি। ঘটনার বিষয়ে জানতে রেমাক্রি ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জন ত্রিপুরার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে কেনো নিখোঁজ কিশোরীর ব্যাপারের বিষয়ে তার পিতাকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পরামর্শ বা সহায়তা দেননি এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান তিনি । রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মং শৈই থুই মার্মা রনি জানান, সড়কে রাস্তার নির্মাণ কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার আনিসুল ইসলাম সুজনের সাথে তাঁর কর্মচারী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন কিন্ত ৯ দিন অতিবাহিত করার পরও এখন পর্যন্ত কোন রকম সহযোগিতা পাইনি। এ বিষয়ে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুদিপ্ত রায় জানান, কিশোরীকে অপহরণের বিষয়ে অপহৃতের পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তদন্তপূর্বক কিশোরীকে উদ্ধার এবং পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো