মুহাম্মদ আলী, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং উন্নয়নের মূল্যায়নে বান্দরবান জেলার অবস্থান শীর্ষে থাকতে হবে। বান্দরবান পর্যটনের দিক থেকে একটি আকর্ষণীয় জেলার মর্যাদা লাভ করেছে। একটি পর্যটন বান্ধব জেলা হিসেবে দেশ বিদেশে আরো পরিচিতির জন্য শহরে চলাচলকারী যানবাহনসমূহ কে শৃংখলার আওতায় আনতে হবে, কোন অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি যেন চলাচল করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। শহরে চলাচলকারী ইজি বাইকের ড্রাইভারদের পোশাক নির্ধারণ করে দিতে হবে। রবিবার ১২জুন সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজী সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল,পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সিভিল সার্জন ডা. নীহার রন্জন নন্দী, বান্দরবান এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস সাদাত জিল্লুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মুহাম্মাদ ইয়াছির আরাফাত, বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোছলেহ উদ্দীন চৌধুরী,লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল,রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চ হাই মং মারমা, থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমাসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের উজানীপাড়া, মধ্যমপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে রাতে পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতি মাসের আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি রিপোর্ট পরবর্তী সভায় পেশ করতে হবে। কাজে ব্যর্থতার জন্য বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পরিবারের ছেলেমেয়েরা কোথায় সময় কাটায়, কার কার সাথে মেলামেশা করে এই ব্যাপারে অভিভাবকদেরকে খোঁজ খবর রাখতে হবে।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে বিপদজনক মোড়ে স্বচ্ছ গ্লাস স্থাপন, সমতল জেলা থেকে আসা গাড়িগুলোকে নীলগিরির পর না যেতে উৎসাহিত করা, গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে গাড়ি চালানোর জন্য ম্যানুয়েল প্রকাশ করে বিতরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
শহরে মাতাল ও পাগলের উপদ্রুপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া ফুটপাত দখল করে ফলমূল বিক্রি বন্ধে কার্যকর নির্দেশনা জারির জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রী শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজী বলেন, জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভার কার্যবিবরণী প্রতিমাসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে প্রেরণ করতে হয়, তাই এই কমিটির সদস্যদের নিয়মিত মিটিংএ উপস্থিত থাকা খুবই জরুরী। তিনি প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।