মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বান্দরবান সেনা জোন কর্তৃক নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বান্দরবান সেনা জোনের তত্ত্বাবধায়নে বান্দরবান সদর উপজেলার ০৬ টি ইউনিয়নে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৩০মার্চ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বান্দরবান জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মিসবাহুল ইসলাম ফুয়াদ এর সঞ্চালনায় বান্দরবান সেনা জোনের উদ্যোগে বান্দরবান সদর উপজেলার অন্তর্গত ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলার অন্তর্গত ১নং রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা, ২নং কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মারমা, ৩নং বান্দরবান সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অংসাহ্লা মারমা, ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা, ৫নং টংকাবতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো, ৬নং জামছড়ি নতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ সিং মারমা’সহ উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্য ও সদস্যা বৃন্দ। ঃঅনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান,পিএসসি বলেন, সেনাবাহিনী জনগণের আস্থার একটি নাম। সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের কঠোর নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি তাদের সুখে-দুখে সর্বদা পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছে। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি আপামর জনগণের সুষম অধিকার নিশ্চিত করা ও জনগণের মৌলিক চাহিদার উপর গুরুত্বারোপ করে জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি পার্বত্য অঞ্চলকে সন্ত্রাস মুক্ত করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সুখ শান্তি ও নিরাপদ জীবন যাপন করার নিমিত্তে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে উপহার প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা প্রদান করেন। আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে উপস্থিত সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যাগন তাদের বক্তব্যে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবা সর্বোচ্চ ভাবে নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।