বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
”আমার দৃষ্টিতে বর্তমানে যুব সমাজ মাদকসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের মাঝে শরীরচর্চা বিমুখতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা শারিরীক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই সক্ষম ও কর্মক্ষম ছিলেন বলেই আজ এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি আমরা। এজন্য তাদের কে উৎসর্গ করে ও যুবসমাজ কে উদ্বুদ্ধ করতে আমার এই লং রান। কথা বলছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসা হাশেমী।
একটানা দৌড়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ব্যাতিক্রমীভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগী মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতিসৌধ থেকে দৌড় শুরু করেন তিনি। দুই ঘন্টা ছয় মিনিটে ২২ কিলোমিটার অতিক্রম করে যাত্রা শেষ করেন কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড়ে অবস্থিত ‘মুক্তিমিত্র’ স্মৃতিস্তম্ভে। এ যাত্রায় তিনি প্রতি ৫ দশমিক ৭২ মিনিটে এক কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করেন।
মুসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি। তিনি ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সেল্ফ ডিফেন্স ক্লাব’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
মুসা আরোও বলেন, ‘ আমি মনে করি নিয়মিত দৌড়ানোর মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ্য রাখা যায়। এ ছাড়া আদর্শ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গঠন ও মাদকমুক্ত সমাজ তৈরীর জন্য আমাদের নিয়মিত শরীর চর্চা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা জাতিগতভাবে আরো পরিশ্রমী এবং উন্নত হতে পারবো।’
উল্লেখ্য, তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হাফ ম্যারাথনে অংশ নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি স্বরূপ নিয়মিতভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তারই অংশ হিসেবে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল আত্মত্যাগী মুক্তিযোদ্ধার স্বরণে’ তার এই ম্যারাথন সম্পন্ন করা।