২০২২ সালের প্রথমার্ধে অনেক বেশি পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা। বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলোন মাস্কের কমেছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ। অ্যামাজনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জেফ বেজোস হারিয়েছেন ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। এছাড়া ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।
এরই মধ্যে চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিশ্বের ৫০০ ধনীর হারানো সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটিকে বিশ্বের বিলিয়নেয়ার শ্রেণীর মধ্যে মাত্র ছয় মাসে সম্পদের সবচেয়ে বড় পতনকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ সময়ে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের কারণে অতিধনীদের ভাগ্য আরো বড় হয়। আর সেই সময়ে টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি পর্যন্ত সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পায়। সেই সময় পেরিয়ে এসে এমন পতনকে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীক্ষ পতন হিসেবেই উল্লেখ করা হচ্ছে।
নীতিনির্ধারকরা এখন উচ্চমূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সুদের হার বাড়াচ্ছে। কিছু শেয়ারও বেশ ঊর্ধ্বগতিতে উড়ছে এবং যেসব বিলিয়নেয়ার সেগুলোর মালিক তারা দ্রুত তাদের অবস্থান হারাচ্ছেন। টেসলার জন্য গত জুন পর্যন্ত চলা প্রান্তিকই সবচেয়ে খারাপ ছিল বলে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সঙ্গে অ্যামাজন বলছে, ডটকম বাবল শেষ হওয়ায় পরই তাদের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে কম হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি হওয়ায় তা বিশ্বের সম্পদের বৈষম্যকে সংকুচিত করার দিকে একটি শালীন পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করছে। টেসলার সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলোন মাস্কের সম্পদ এখনো বেশ বিস্তৃত। তার হাতে রয়েছে ২০ হাজার ৮০৫ কোটি ডলারের সম্পদ। যেখানে জেফ বেজোসের হাতে ১২ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স।
ফ্রান্সের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বার্নার্ড আর্নল্ট এ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। তার কাছে রয়েছে ১২ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারের সম্পদ। তার পরের অবস্থানে রয়েছে বিল গেটস। ব্লুমবার্গ ইনডেক্সের মতে, তার সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার।
যদিও তাদের সংখ্যা মাত্র চারজন, যাদের সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটির বেশি। বছরের শুরুতেই ১০ জন মানুষ সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে মার্ক জাকারবার্গও রয়েছেন। যিনি ৬ হাজার কোটি ডলার নিয়ে তালিকায় ১৭তম অবস্থানে রয়েছেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতের বিলিয়নেয়ার চাংপেং ঝাও গত জানুয়ারিতে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্সে ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। চলতি বছর ডিজিটাল সম্পদে অস্থিরতার কারণে তার সম্পদ প্রায় ৮ হাজার কোটি ডলার কমে গিয়েছে।