বিশ্ব সাম্রাজ্যে ইশতিয়াকের গো আপ ফাউন্ডেশন। গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম Icons Of Asia award 2022 এর
” Best Social Impact of the year” বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছে এই সংস্থাটি৷ প্রায় ৪৯টি দেশের মধ্যে স্টার্টআপ সংস্থা হিসেবে আইকনস অফ এশিয়া ২০২২” পুরস্কার পেলো বাংলাদেশের একমাত্র এই সংস্থা।
গেলো ২০ ডিসেম্বর গো আপ ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ খান ভারতের বিখ্যাত ৫ তারা হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন এবং সেখানে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেন।
এছাড়াও তিনি শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড 2020″ “বীরত্বের কাজ” এর জন্য এবং বাংলাদেশ স্কাউট থেকে “ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড” এর সম্মাননা পেয়েছেন। ইশতিয়াক ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রথম স্বেচ্ছাসেবক দাখিলের সেরা ৭ জনের একজন নির্বাচিত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে ইশতিয়াক বলেন, একটি স্বপ্ন যাদু দ্বারা বাস্তবে পরিণত হয় না; এর জন্য সংকল্প এবং কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী, এবং আমি যত বেশি পরিশ্রম করি, আমার কাছে এটি ততো বেশি হয়। এই মুহুর্তে সেরাটা করা আপনাকে পরের মুহুর্তের জন্য সেরা জায়গায় রাখে। কঠোর পরিশ্রম প্রতিভাকে হারায় যদি প্রতিভাবান মানুষ কঠোর পরিশ্রম না করে। সুতরাং আমাদের সাফল্যের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাগুলিকে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করলে সমাজের মাঝে তরুনদের এই সাহসিকতার গল্প আরও সুন্দর ভাবে ফুটে উঠবে৷
তিনি আরও বলেন, গো আপ ফাউন্ডেশনের সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য রাখা অবদানই স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে৷ দেশের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো যারা দেশের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ৷
গো আপ ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যা সুবিধাবঞ্চিত শিশু, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, দূর্যোগ কবলিত মানুষ, শিশু শিক্ষা, অসহায় রোজগারহীন পরিবারকে স্বাবলম্বীকরন, তরুন উদ্যোক্তা তৈরী, কিশোরী মেয়ে ও নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা, মাদকাসক্ত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার বিনিময়ে পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ খান। গো আপ ফাউন্ডেশন এবং “আমাদের ইসকুল” এর প্রতিষ্ঠাতা ৷ ইশতিয়াক দিল্লির শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে৷ ২০২০ সালে করোনা মহামারী চলাকালীন বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনভাইরাস চলাকালীন ১২০০ দাফন, ৩০০ অক্সিজেন এবং ১০,০০ পরিবারকে জনকে সেবা দিয়ে গিয়েছে এই তরুণ৷
স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ‘গো আপ ফাউন্ডেশনকে এশিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এর আইকনস হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পিছনে তার ভুমিকা অতুলনীয়৷ বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্য ইভেন্টটি ভারতে দিল্লি শহর দ্বারা আয়োজিত হয়েছে। ইশতিয়াক একজন ছাত্র পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা, পর্বতারোহী এবং ক্রীড়াবিদ। রোভার স্কাউটিং এর পাশাপাশি ক্রিকেটের খেলায় তার দক্ষতার কথা না বললেই নয়৷ নিজ দেশে এবং দেশের বাইরেও ক্রিকেট খেলায় সে বহু সুনাম অর্জন করেছে৷ গত ৩ বছর যাবত দেশের মানুষের সেবা দানে কাজ করে যাচ্ছে ইশতিয়াক৷
২০২৬ সালের মধ্যে, মাদকাসক্ত, সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় স্কুল নির্মাণের কাজ করছে এই সাহসী তরুণ৷
বাংলাদেশে গো আপ ফাউন্ডেশনের মোট ৬টি স্কুল রয়েছে যার নাম ‘আমাদের ইসকুল” এবং সেই ভাসমান স্কুলটি তে মোট ৪৫০+ জন মাদক আসক্ত শিশু রয়েছে৷ এই স্কুলে শিশুদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। গো আপ ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে মোট ৯০জন শিশুকে মাদকাসক্ত জীবন থেকে সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে৷