মোঃ নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র রমজান আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার মামলার তিনটিতে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছে। বিলম্বে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ জয়শ্রী সমদ্দারের আদালতে গত ১৭ ও ২৫ মে দুর্নীতি প্রতিরাধে আইনে এ অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাগুলো চলতি বছর অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পতির নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সাক্ষীদের প্রতি আদালত থেকে সমন জারি করা হয়েছে। পৃথক চার মামলায় আরও আসামি রয়েছেন সাবেক দুই ওয়ার্ড কমিশনার ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দুদকের পিপি আজিজ উল্লাহ মঙ্গলবার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একটি মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে মানিকগঞ্জ কাঁচা বাজারের দক্ষিণের খাদ ভরাটের কাজ দেওয়া হয় মেসার্স মহুয়া কনস্ট্রাকশনের মালিক বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মট্টুকে। পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রমজান আলী ওই ঠিকাদারের যোগসাজশে তিন লাখ ২৫ হাজার ৩৩০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া আরেক বিশেষ মামলার নথিতে জানা যায়, রমজান আলী তৎকালীন ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার হামিদুর রশিদ কাজলের যোগসাজশে ২০০৪ সালে পৌরসভার জিপ মেরামতের নামে দুটি চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর ২০০৬ সালে কাজল আরও দুটি চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ৩০ এপ্রিল ২০০৭ সালে সদর থানায় মামলা করেন দুদুকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবদুল মাজেদ। অপর মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে পৌর সুপার মার্কেটের দক্ষিণের জায়গা ভরাটের কাজে মেয়র রমজান ঠিকাদারের যোগসাজশে পৌরসভার তহবিল থেকে ৪ লাখ ২২ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় সদর থানায় ২০০৭ সালে ৩ মে মামলা করে দুদক। পৌর মেয়র রমজান আলী জানান, মামলাগুলো করা হয়েছিল হয়রানি করার জন্য। দুদক যে অভিযোগ এনেছে তার কোনোটিই সত্য নয়। এ ব্যাপারে আইনজীবীর মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।