Monday , 20 May 2024
শিরোনাম

মানিকগঞ্জ ৩ আসনে সাটুরিয়ায় গণফোরামের নির্বাচনী গণ সংযোগ

এম,এ,রাজ্জাক-সাটুরিয়া(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি।

 

গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির  সভাপতি ও দলের মনোনীত প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খান কামাল সোমবার দুপুরে সাটুরিয়ায় বাজারে গণ সংযোগ চালিয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম খান কামাল প্রথমে সাটুরিয়া বাসষ্টান্ডে ও সাটুরিয়া বাজারে ভিতরে নির্বাচনী গণ সংযোগ করেন। এসময় তিনি উপস্থিত ভোটার বিভিন্ন দোকান মালিক ও গ্রাহকদের মাঝে নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ করেন। তরুণ ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষন করে সূর্য মাকায় ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। গণসংযোগে তার সাথে মাত্র ৫-৬ জন সর্মথকদের দেখা যায়।

উল্লেখ্য মানিকগঞ্জ-৩ আসনে গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী মফিজুল ইসলাম খান কামাল (উদীয়মান সূর্য), ছাড়াও ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত  প্রার্থী জাহিদ মালেক (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনএম) মনোনীত খালেক দেওয়ান (নোঙ্গর), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী এম হাবিব উল্লাহ  (গামছা), তৃণমূল বিএনপি’র মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ (সোনালী আঁশ) এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জহিরুল আলম রুবেল (লাঙ্গল)।

পরে তিনি গণ সংযোগ শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমি ১৯৭৩ সনে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ ৩ আসন ও আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় ছিলাম। এই অল্প সময়ে সাটুরিয়া- মানিকগঞ্জের জন্য অনেক উন্নয়ন মূলক কাজে অংশ গ্রহণ করি।

তৎকালীন সময়ে কৃষকদের সুবিধার্থে ৮০ টি গভীর ডিবটিউবয়েল আনি, যা  কৃষকদের মাঝে ফ্রিতে বিতরণ ও স্থাপন করে দেই। তখন থেকেই ধান চাষে সফলতা আসে। তাছাড়া আমি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজ, সাটুরিয়া গার্লস স্কুল, দড়গ্রাম ভেকু মেমুরিয়াল ডিগ্রী কলেজ,ও হরগজ শহীদ স্বৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঐ  সময় আমি ৩০ ভান টিন দিয়ে স্কুলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করি।

মফিজুল ইসলাম খান কামাল আরো বলেন, আমার বাবার নামে এই সাটুরিয়ায় স্কুল আছে, আমি সাটুরিয়ার সন্তান। ৫০ বছর ধরে সাটুরিয়া কোন নেতা এমপি হতে পারে নাই। সাটুরিয়ার মানুষ এতিম হয়ে আছে। আমি এবার নির্বাচিত হয়ে এতিমের নাম ঘোচাতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকব। একটি টাকা দুর্নীতি করব না। বর্তমানে যে সরকারী অনুদান আসছে তা লুটপাট হয়ে যায়। সরকারী দলের নেতারা কাজের বিনিময়ে কমিশন খায়। আমি একটি পয়সা ও কমিশন খাব না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি  আরো বলেন, এবার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করি। জনগণ ভোট দিবে কে থামাবে। যারা ভোট দিতে থামাতে চায়, তারা মানুষের ভাল চাই না।তিনি এও বলেন, এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রকার বাধা বিপত্তি আসে নাই। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি মানিকগঞ্জ ৩ আসনে এমপি নির্বাচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

Check Also

নির্বাচনে প্রচারণার খিচুড়ি গেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, বিশেষ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খিচুড়ি রান্না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x