সফল অধ্যক্ষ ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃত স্বরূপ মার্দার তেরেসা শাইনিং পার্সোনালিটি এওয়ার্ড পেলেন দীপক কুমার ভদ্র। তিনি সিরাজগঞ্জের রিভারভিউ আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাদক প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সেমিনারে এই সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এওয়ার্ডটি প্রদান করে সাউথ এশিয়া সোশ্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি, শহিদুল ইসলাম,অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দরা।
অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভদ্রের হাতে এওয়ার্ডটি তুলে দেন সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। সম্মাননা পেয়ে দীপক কুমার ভদ্র বলেন, “আমাকে সফল অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করে সম্মাননা প্রদান করায় আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমার জন্য এই পুরস্কার আনন্দের ও গৌরবের। এই সম্মাননা আমার দায়িত্ব ও কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভদ্র যুক্ত আছেন মানুষ গড়ার পেশায়। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইছামতি গ্রামের সন্তান দীপক কুমার ভদ্র। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী সহ ১৯৮৬ সালে মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে রাজশাহী থেকে এইচ.এস.টি, টি আই থেকে বিষয়ভিত্তিক, নায়েম, ঢাকা থেকে প্রশাসনিক, ঢাকা থেকে ডি.এইচ,এম,এস এবং পরে এল,এল,বি ডিগ্রী লাভ করেন।
দীপক কুমার ভদ্র, আব্দুল্লাহ্-আল মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ, বাগবাটীতে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে ১৯৯০ সালে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রিভারভিউ আইডিয়াল কলেজটি অধ্যক্ষ হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। জনাব দীপক কুমার ভদ্র, চর-ইসলামপুর ইছামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ডিএইচএমএস ডিগ্রি লাভ করে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এলাকায় সমাজসেবা করে চলেছেন। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিরাজগঞ্জ, জেলার আজীবন সদস্য। চাকরির পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে ননীগোপাল স্মৃতি পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।
সাহিত্য ক্ষেত্রেও তিনি অবদান রেখেছেন। ২০২০ সালে “নশ্বর পৃথিবীতে” নামক তার একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি “সাহিত্য বিজ্ঞান” ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি বিশ্ব বাংলাসাহিত্য পরিষদ সিরাজগঞ্জ শাখার সভাপতি।
তার শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য “শেরে বাংলা গোল্ডেন আ্যওয়ার্ড”, “বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ স্মৃতি গোল্ড মেডেল” “সাউথ এশিয়া এডুকেশন এ্যাওয়ার্ড”, “মুজিববর্ষ স্বাধীনতা সম্মাননা” এবং সম্প্রতিক অর্জন করেছেন “মার্দার তেরেসা শাইনিং পার্সোনালিটি এওয়ার্ড”। অন্তর্জাতিক পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারত থেকে প্রাপ্ত “মাহাত্ম্য গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড ২০২২” এবং “ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ এওয়ার্ড ২০২২”।