মনিরুল ইসলাম, মেহেরপুর -মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের কালিতলা হাফেজিয়া এতিমখানা ও
লিল্লাহ বোডিং মাদ্রাসায় তিন ছাত্রকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ইমতিয়াজ ও ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত বুধবার রাতে (২০জুলাই) তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে শিক্ষক ইমতিয়াজ ও ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম । খবর পেয়ে নির্যাতিত ছাত্রর পিতা মাদ্রাসা থেকে তার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসে এবং নির্যাতিত ছাত্রর পিতা সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে শিক্ষক ইমতিয়াজ আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলামের নামে থানায় অভিযোগ করে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন লিল্লাহ বোর্ডিং এর সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আমাকে ওই তিন ছাত্রের কাছে নেশা করার সরমজান পাওয়ার অপরাধে মারতে বলে, তার কারনে আমি তাদের গায়ে হাত তুলি ও চড় থাপ্পড় মারি। সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান এ তিন ছাত্রের কাছে নেশা করা সরঞ্জাম পাওয়াই শাসন করার জন্য দুই একটা থাপ্পর দিয়ে ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলি এই পর্যন্ত আমি বলি ।
মাদ্রাসার ছাত্রের বাবা সূত্রে জানাযায় বুধবার রাতে (২০জুলাই) তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয় শিক্ষক ইমতিয়াজ ও ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম । তিনি বলেন আমার ছেলে দীর্ঘদিন যাবত এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে আসছে হঠাৎ করে শুনি নেশার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে বলে আমার ছেলেকে বেধড়ক পিটানো হয়েছে আমি খবর পেয়ে আমার ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি নিয়ে আসি এবং তার মুখে বিস্তারিত ঘটনাটি শুনি ঘটনা শোনার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানায় পরে মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা হয় ।
মীমাংসা বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান মুজিবনগর থানা ও উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে অভিযোগকারী মাদ্রাসার ছাত্রের বাবা সাইফুল ইসলামের কোন অভিযোগ না থাকায়
বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং মাদ্রাসার সকল হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে ঐ মাদ্রাসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে