র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ চোর চক্র ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতরের অভিযান চালিয়ে আসছে। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৯ নভেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন রুপসী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে চুরি হওয়া ০১টি পিকআপ উদ্ধার করে ও মূল হোতাসহ গাড়ি চোর চক্রের ০২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ সুমন মাঝি @ দুলাল @ বাদল (৩২) ও ২। মোঃ লিটন (৩২) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ১৭/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত্রে উক্ত পিকআপ গাড়ীর চালক মোঃ জুম্মান অহম্মেদ শান্ত (২৪) প্রতিদিনের ন্যয় গেন্ডারিয়া থানাধীন কালীচরন শাহা রোড এলাকায় তার বাসার সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পিকআপটি রেখে বাসায় যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সুমন মাঝি @ দুলাল @ বাদল (৩২) তার সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে উক্ত পিকআপটির দরজার লক ভেঙ্গে উক্ত স্থান হতে কিছু দূরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা অভিনব কায়দায় চাবি ছাড়া পিকআপটি স্টার্ট দিয়ে চালিয়ে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সুজন মাঝি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উক্ত গাড়ির বিনিময়ে মালিকের নিকট ১,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে। গাড়ির মালিক সুজন মাঝি’কে ৭,০০০/- টাকা দেয়। এতে সুজন মাঝি ক্ষুদ্ধ হয়ে উক্ত পিকআপ এর সাথে থাকা ব্যাটারী ও অতিরিক্ত চাকা বিক্রি করে দেয় এবং গাড়িটি বিক্রেয়ের জন্য ক্রেতা খুজতে থাকে। গাড়িটি বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা খোজাখুজির একপর্যায়ে সে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।