আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী):-বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে কজন ক্ষণজন্মা মানুষ স্বীয় প্রতিভা ও কর্মগুণে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং বাঙালি জনজীবনে নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান (১৯২৩-১৯৭৫) একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। রবিবার (২৬ জুন) ছিল তাঁর ৯৯তম জন্মদিন।
নানা আয়োজনে এই মহান নেতার ৯৯তম জন্মদিন উদযাপন করেছে রেলওয়ে রাজশাহীর শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দ।
রোববার সকালে নগরীর কাদিরগঞ্জে শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।
পরে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নিজস্ব কার্যালয় জাতীয় নেতার ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। পরে এলাকার এতিম, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন,
আলোচনাসভা ,দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটি বন ও পরিবেশ বিষয়ক সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডাঃ আনিকা ফারিহা জামান অর্না।
এ সময় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সকল নেতৃবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন,
উল্লেখ্য যে,শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জুন বৃহত্তর রাজশাহী জেলার নাটোর মহকুমার বাগাতিপাড়া থানার মালঞ্চী রেলস্টেশন সংলগ্ন নূরপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জ মহল্লায়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি শহীদ হন।
তাঁর দাদা গুলাই এর জমিদার হাজী লাল মোহাম্মদ সরদার (১৮৪৮-১৯৩৬) ব্রিটিশ আমলে একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। কামারুজ্জামানের পিতা আবদুল হামিদ মিয়া (১৮৮৭-১৯৭৬) ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবক। তিনি রাজশাহীতে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য (এম.এল.এ) ছিলেন।