নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শনিবার (৬ মে) রাজ্যাভিষেক হয়ে গেল ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের। ব্রিটেনের ইতিহাসের অন্যতম বড় ও আড়ম্বরপূর্ণ এই অভিষেক অনুষ্ঠানে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেটা জানলে কপালে উঠবে যে কারো চোখ।
নতুন যুগে প্রবেশ করেছে যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্র। ৭০ বছর পর নতুন রাজা পেয়েছে সে দেশের মানুষ। শনিবার জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয়েছে রাজা তৃতীয় চার্লসের।
কিন্তু ব্রিটেনের ইতিহাসের অন্যতম বড় ও এই অভিষেক অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কী পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ব্লুমবার্গসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এই খরচ ছাড়িয়ে গেছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা সমান।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকও অর্থনৈতিক এই সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
ফলে রাজকীয় নানা আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। বলা হয়েছে, অভিষেক অনুষ্ঠানের কারণে প্রত্যেক ব্রিটিশ নাগরিকের ঘাড়ে অতিরিক্ত খরচ চাপবে দেড় পাউন্ড করে।
যদিও যুক্তরাজ্য সরকার বেশ জোর দিয়েই বলছে, রাজ্যাভিষেকটি ব্রিটিশ অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। কারণ, এই উপলক্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যের পর্যটন, রেস্তোরাঁ ও পাবগুলোতে কয়েক কোটি ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়েছে।
বুকিং কোম্পানি ট্রাভেলপোর্টের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে শেষ ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইটের সংখ্যা বেড়েছে ১৪৯ শতাংশ।
আর হোটেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম অ্যালোরা এআইয়ের হিসাবে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে হোটেলগুলোর মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
অভিষেক অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ খরচই বহন করেছে দেশটির সরকার। কিছু খরচ বাকিংহাম প্যালেসও দিয়েছে। তবে শেষ বিচারে খরচটি ব্রিটিশ করদাতাদের থেকেই নেয়া হয়েছে।