খাদ্যশস্য রপ্তানি করার বিষয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এজন্য কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো আবারও খুলে দিতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তাইয়েপ এরদোগানের কার্যালয় থেকে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গভীর রাতে বন্দরগুলো আনব্লক করা হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। খবর আলজাজিরা ও হিন্দস্তান টাইমসের।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে একত্রিত হবে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। সেখানে নেতৃত্ব দিতে জাতিসংঘের হয়ে থাকবেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া মধ্যস্ততাকারী দেশ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে চুক্তি সই হবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইবরাহিম কালিন এ বিষয়ে এক টুইট বার্তায় লেখেন, শস্য রপ্তানি চুক্তি, যেটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের পৃষ্ঠপোষকতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশই বৈশ্বিক গম সরবরাহকারী হওয়ায় তাদের যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। এতে খাদ্যসংকটেও পড়ে অনেক দেশ।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরে আটকে থাকা লাখ লাখ টন শস্যের মজুদ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট কমে আসতে পারে। শুধুমাত্র ইউক্রেনেই অন্তত ২২ মিলিয়ন টন শস্য আটকে আছে।
তুর্কি কর্মকর্তারা বলেছেন, গত সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেনর দুই পক্ষ ইস্তাম্বুলে মিলিত হয়েছিল। যেটি চুক্তিতে কৃষ্ণ সাগর বন্দরে জাহাজগুলো ছেড়ে যাওয়া ও পৌঁছানোর সময়, স্থানান্তর রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার পূর্বাভাস দেয়।