যে হিংস্র সিংহের থাবায় বদ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম-স্পেন। যার কবল থেকে রেহাই পায়নি পর্তুগালও। আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে উঠার পর যার পানে বিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল, সেই সিংহের গর্জন থামিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। তাতে রূপকথার পৃষ্ঠা আর বাড়ল না। শেষ চারেই থেমে গেল আফ্রিকান রজনীর কথামালা। আল খোরের আল বায়েত স্টেডিয়ামে মরক্কোকে যে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
থিও হার্নান্দেজ আর র্যান্ডেল কোলো মুয়ানির গোলে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত হয়েছে তাদের। ব্রাজিলের পর তারাই একমাত্র দল যারা টানা দুইবার ফাইনাল খেলতে নামছে। ১৯৬২ সালে সেবার ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর টুর্নামেন্টজুড়ে চমক আর অঘটনের জন্ম দেওয়া মরক্কোকে শেষ চারে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
খেলার শুরুতেই মরক্কোর রক্ষণ ভেঙে দেয় ফ্রান্স। তাতে ইয়াসিন বুনোকে পরাস্ত করতে সমর্থ হন থিও। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। সেই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর গোল শোধ করার জন্য মরিয়া গয়ে উঠে মরক্কো। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু ফিনিশারদের দুর্বলতায় সেটা আর পেরে উঠেনি। উল্টো ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে। মাত্রই উসমান দেম্বেলের বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন কোলো মুয়ানি। আর নেমেই পেয়ে যান গোলের দেখা। আর তাতেই ফ্রান্সের ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।