পরিবারের এক চিলতে সুখ আর মুখ ভরা হাসি ফোটাতে নিজের সুখকে জলাঞ্জলি দিয়ে সুখ কিনতে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে রেমিটেন্স যোদ্ধা। পরিবারের প্রিয় মানুষ আর মাতৃভূমি মায়া ত্যাগ করে দেশের অর্থনীতি চাকা গতিশীল রাখতে জীবনের সাথে অবিরত যুদ্ধ চালায় ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রেমিটেন্স যোদ্ধা। তাদের জীবনের লক্ষ্য থাকে নিজের জীবনের সুখটুকু বিসর্জন দিয়ে হলেও পরিবারের সোনালি দিন দেখা।
মানুষ নিজেদের জীবনের সাফল্যের চাকা পরিবর্তনের জন্য প্রবাস জীবনের পাড়ি দিতে কেউ বিক্রি করছে নিজের ভিটাবাড়ি আবার কেউ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ বা গৃহবধূর গয়না বিক্রি করে পাড়ি জমাচ্ছে প্রবাসে। মাতৃভূমির প্রিয় জনের সুখ চিন্তা করে কঠোর পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠায়।পরিবার জন্য রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাস জীবনের নিজেরাই কখনো ভাল খাবার চোখে দেখে না।প্রবাসীরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাতে বেলায় ফিরে আসে নিজের বাসা গিয়ে রান্না করে খায় প্রবাসী যখন মুখে খাবার নেই তখন মনে পড়ে যায়। পরিবারের সাথে একসাথে এতো গল্প হাসি মধ্য দিয়ে খাবার খাওয়া কথা।
করোনা মহামারি দূর্যোগের রেমিটেন্স যোদ্ধা ছিল গৃহবন্দী। দীর্ঘদিন যাওয়া হয়নি কাজের সন্ধানে কোন দিন খেয়ে আবার কোনদিন না খেয়ে পাড় করতেছে প্রবাস জীবন। তাদের কষ্ট পরিবারের সুখের জন্য দু’চোখের জলে ভাসতো সোনালি স্বপ্ন।
রেমিটেন্স যোদ্ধারা পরিবারকে কখনো বুঝতে দেননি যে তারা ভাল নেই।
রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পরিবার থাকিয়ে থাকে কবে মাস শেষ হবে। আমাদের জন্য টাকা পাঠাবে। পরিবারের সকলের চাওয়া পাওয়া তো শেষ নেই। বিদেশ থেকে দামি মোবাইল পাঠানোর দাবি পরিবারের। একটু আমরা চিন্তা করে দেখি না সেই প্রবাসীদের কথা। এই রমজান মাঝে প্রবাস জীবনের তীব্র গরম তাপের মাঝে কিভাবে রোজা রাখতেছে আমরা হয়তো বা জানিনা। কি দিয়ে ইফতার এবং সেহেরি করতেছে আমরা কখনো জানতে বা বুঝতে চাইনা।
পবিত্র রমজান মাসে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পরিবার তাকিয়ে আছে কবে প্রবাস থেকে টাকা পাঠাবে।পরিবারের সকলের পছন্দ মতো নতুন কাপড় কিনবে।কিন্তু যে মানুষটা আজ টাকা পাঠাবে আমরা কখনো জিজ্ঞাস করে দেখিনি প্রবাসে থাকা টাকা মেশিনটা ঈদের নতুন জামা-কাপড় কিনছে কি-না।
আজকাল দেশের অর্থনীতি জোগান দেওয়া টাকার মেশিনটা নিজ মাতৃভূমি মাটিতে বড়োই অসহায়।প্রবাসীর পরিবার গুলোর খবর কেউ রাখে না। প্রবাস জীবনের কষ্টের অর্জিত টাকা জায়গা-জমির ক্রয় করে, সেই জায়গার কারণে প্রবাসী পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে মিথ্যা মামলায়। সমাজের এমন কিছু মানুষ আছে যারা প্রবাসীদের জায়গা-জমিনের ওপর লোভ করে। প্রবাসী পরিবারদের হয়রানি শিকার হচ্ছে। আসুন সবাই মিলে রেমিটেন্স যোদ্ধােদের ভালবাসি । তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াই।