বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেন কুমিল্লার কয়েকটি স্টেশনে আটকে পড়েছে। এ দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রোববার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এ দুর্ঘটনার ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাত সাড়ে ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছেই।
কুমিল্লার স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, কুমিল্লা স্টেশনে আটকে পড়েছে ঢাকা থেকে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস, কুমিল্লা স্টেশন পার হয়ে সদরের রসুলপুর এলাকায় আছে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা নাছিরাবাদ এক্সপ্রেস, লাকসামে আছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। লালমাই এলাকায় আছে ঢাকা থেকে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, লাকসামে আছে চাঁদপুর থেকে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়া আরও দুটি মালবাহী ট্রেন আটকে পড়েছে লাকসাম স্টেশনে।
কুমিল্লা স্টেশনে অবস্থান করা চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রী মনির হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। আমার সঙ্গের অনেক যাত্রী ইতোমধ্যে ট্রেন ছেড়ে অন্য পথে চলে গেছেন। অপেক্ষায় আছি কোন সময় ট্রেন ছাড়বে। অনেক রাত হয়ে গেছে, ট্রেনে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
এর আগে রোববার ১১টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় বিজয় এক্সপ্রেস। দুপুর পৌনে ২টায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরের তেজের বাজার এলাকায় পৌঁছালে বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ট্রেনটির ইঞ্জিন। পরে গতি কমে আসা ইঞ্জিনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বগিগুলো। এ সময় একে একে নয়টি বগি যাত্রী নিয়ে পড়ে যায় রেললাইনের পাশে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমপক্ষে ৫০০ মিটার রেলপথ।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রচণ্ড উত্তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী নয়টি বগি নিয়ে বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকবলিত হলেও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আহত ৩০ জন।