নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম জেলা কোতোয়ালী থানার লাভলেইনস্থ শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ীর মালিকানাধীন সম্পত্তি জবর দখলকারীদের কবল থেকে রক্ষার দাবীতে আজ বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ীর সেবায়েত কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে মহানগর পূজা পরিষদ, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমি উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ীর সম্পত্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যদি আবার ভূমিদস্যূরা কালী বাড়ীর সম্পত্তির দিকে নজর দিলে সুশীল সমাজকে নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এড. শিপ্রা ব্যানার্জী। শ্রীশ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ীর সেবায়েত কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর সেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি, লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. চন্দন তালুকদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দু পাল অরুণ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতœাকর দাশ টুনু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য বিশ্বজিৎ ভৌমিক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯০৬ সালে দেবীদ্বীন সিং হাজারী রেজিষ্ট্রীকৃত উইল মূলে শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালী বাড়ীকে সম্পত্তি অর্পন করেন। মাননীয় জেলা ডেলিগেট প্রথম আদালাত ১৯০৭ সালে প্রবেট প্রদান করেন। আর.এস রেকর্ডীয় তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে অমর সিং, মোহন সিং সরবরাহ কারক হিসেবে তাদের নাম লিপি হয়। মোহন সিং হতে পাট্টা মূলে সতিভূষণ সেন এবং সতিভূষণ সেন হতে ১৯৫১ সালে লীজ মূলে এস মঈনদ্দিন দাবী উত্থাপন করেন। তার মৃত্যুতে তার ওয়ারিশগণ জরিপকারীদের বশিভূত করে বি.এস খতিয়ানে জরীপ করান। উক্ত খতিয়ানে নাম আছে নরাধন মঈন। যা ভুল নাম ছিল। এরপর দেলোয়ার হোসেন গং কবলা মূলে স্বত্বের দাবীতে ১৯৮২ সালে লুৎফী আহমেদ ও কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ীর পক্ষে সেবায়েত কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জী বিবাদি হিসেবে পক্ষভূক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। কোহিনুর বেগম শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ী হতে ১৯৭৪ সালে ৪০ বছরের জন্য ভাড়াটিয়া হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন রেজিষ্ট্রিমূলে এবং তিনি উক্ত জায়গায় ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন। ১৯৯০ সালে বাদী দেলোয়ার গংয়ের পক্ষ রায় হলে সে রায়ের বিরুদ্ধে সেবায়েত কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, লুৎফী আহমদ ও কোহিনুর বেগম মহামান্য হাইকোট বিভাগে আপিল করেন। ২০১৩ সালে মহামান্য হাইকোট বিভাগের রায়ে বলা হয় উক্ত মামলার বাদী উক্ত নালিশী জমিতে দখলে ছিলেন না এবং দখল জনিত কোন স্বত্ব ছিল না।
মহামান্য হাইকোট বিভাগে অপর ৮২/১৯৮২ নং মামলা রায় ডিক্রী বাতিল করে উক্ত মামলা খারিজ করে দেন। নালিশী সম্পত্তি সংক্রানে বি.এস রেকর্ডীয় মালিকগণের এবং মঈনদ্দিনের ওয়ারিশগনের স্বত্ব দখল নাই। এবং খরিদ্দারগণের কবলাও বেআইনি মর্মে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোটের আদেশ মোতাবেক উক্ত সম্পত্তি শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালি বাড়ীর দেবোত্তর সম্পত্তি হয়। সেই মোতাবেক সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে দেলোয়ারগং এর নামে বি.এস খতিয়ান বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়।
২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভাড়াটিয়া কোহিনুর বেগমের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর আর ভাড়াটিয়া চুক্তির নবায়ন বা ভাড়া প্রধান করা হয় নি। আইনের বিধান মতে খেলাপি ভাড়াটিয়া হওয়ায় তাকে মৌখিক ভাবে উক্তি সম্পত্তি সেবায়েতকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। এতে কোহিনুর বেগম ও তার ওয়ারিশগণ যাদের স্বত্ব নেই বলে হাইকোট বিভাগ রায় দিয়েছেন তাদের সাথে আতাত করে উক্ত তপশীলোক্ত সম্পত্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে বায়না নামা করেন এবং যোগসাজশে বায়নাকারীদের দখল দিতে উক্ত জায়গায় ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে অবস্থিত গাছ কাটেন গতকাল সকাল ৮ ঘটিকায়। এর পর ৯৯৯ এ সেবায়েত কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জী ফোন করেন। কোতোয়ালী থানা হতে পুলিশ এসে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। সকাল সাড়ে ১১টায় কোতোয়ালী থানা হতে এস.আই. সেলিম পুনরায় এসে বলেন, কাগজপত্রাদি নিয়ে এখনই থানায় যেতে হবে, আমরা প্রেসারে আছি। তখন সেবায়েত বলেন, আমি বয়স্ক ব্যক্তি একা চলাফেরা করতে কষ্ট হয়, রাতে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে থানায় যাব। এ ব্যাপারে থানায় গেলে তারা কাগজপত্র দেখেন এবং বলেন যদি সমস্যা হয় ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানান।
লিখিত বক্তব্যে শ্রীশ্রী দয়াময়ী কালী বাড়ীর সম্পত্তি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক দেবোত্তর সম্পত্তি বেহাত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভূমিকা কি? সাংবাদিক কর্তৃক প্রশ্ন করা হলে সেবায়েত বলেন, থানা থেকে বলা হয়, কোন সমস্যা হলে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে অভিযোগ জানানো।
বার্তা প্রেরক: কমল কৃষ্ণ ব্যানার্জী সেবায়েত
শ্রীশ্রী দয়াময়ী কালী বাড়ী