রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা নেতা শি জিনপিং শুক্রবার ২০২২ সালের ঘটনা নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। যেখানে চীনা প্রেসিডেন্টকে ২০২৩ সালে রাশিয়ায় একটি রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পুতিন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত দুই নেতার মধ্যে একটি ভিডিও কনফারেন্সের সূচনামূলক বক্তব্যে পুতিন বলেছেন, প্রিয় চেয়ারম্যান, প্রিয় বন্ধু, আমরা আগামী বসন্তে মস্কোতে রাষ্ট্রীয় সফরে আপনার প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, এই সফর বিশ্বের কাছে রুশ-চীনা সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শন করবে।
প্রায় আট মিনিটের বক্তৃতায় পুতিন বলেন, রাশিয়া-চীন সম্পর্ক একটি স্থিতিশীল কারণ হিসাবে গুরুত্বের সাথে বাড়ছে এবং দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করার লক্ষ্যে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সামরিক সহযোগিতার প্রশংসা করে পুতিন বলেন, দুই দেশ এটিকে আরও শক্তিশালী করবে, কারণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা একটি ন্যায়বিচার বিশ্বব্যবস্থা গঠনে কাজ করে।
এদিকে বৈঠকে শি বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে যেকোনও পরিস্থিতিতে চীন রাশিয়ার সাথে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শি বলেন, পরস্পরের জন্য উন্নয়নের সুযোগ প্রদানের জন্য কৌশলগত সহযোগিতা উন্নত করতে এবং আমাদের জনগণের স্বার্থে এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে রাশিয়ার সঙ্গে বৈশ্বিক অংশীদার হতে প্রস্তুত চীনও।
এছাড়াও এই দুই নেতার মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও চীন মস্কোর সামরিক অভিযানের নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে, বরং শান্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে চীনে রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তাই রাশিয়া এবং চীন পরিকল্পনার আগে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য লেনদেনে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, এ বছর রাশিয়া চীনে তেল রপ্তানিতে শীর্ষস্থানীয়, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহে দ্বিতীয় এবং এলএনজি সরবরাহে চতুর্থ স্থানে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে রাজধানী সমরখন্দে বৈঠক করছেন পুতিন ও শি জিনপিং। ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যা তাদের প্রথম ব্যক্তিগত আলোচনা। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন তারা।
সূত্র: রয়টার্স