সিরিজ ফস্কে গেলেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে সবগুলো ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ, শঙ্কাটা আবারও জেগেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুটো ম্যাচ হেরে যাওয়ায়।
শরীফুল ইসলামের বোলিংয়ের পর লিটন দাস আর সাকিব আল হাসানের ব্যাটে দুর্যোগ কেটেছে বাংলাদেশের, ৭ উইকেটের জয়ে হয়েছে মুখরক্ষা। শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।
টস জিতে বোলিং নেয়া আফগানরা আগের ম্যাচের মত ব্যাট হাতে তান্ডব চালাতে পারেনি, তাদের থামিয়ে দিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এই বামহাতি পেসার নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহকে ফেরান।
তাসকিন আহমেদও তুলে নেন আগের ম্যাচেই ১৪৫ রানের ইনিংস খেলা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে, মাত্র ৬ রানেই থামিয়ে দেন তার ইনিংস। শরীফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৪/২১) আর সঙ্গে তাসকিন ও তাইজুলের জোড়া শিকারে আফগানদের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৬ রানে। এর ভেতর একা আজমতউল্লাহ ওমরজাই এর রানই ৫৬।
রানতাড়ায় শুরুতেই নাইম শেখ (০) ও নাজমুল হোসেন শান্তকে (১১) হারালেও লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরি (৫৩*) ও সাকিব আল হাসানের ৩৯ রানে সহজেই জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২২ রানে অপরাজিত থাকেন তৌহিদ হৃদয়।
২৩.৩ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারলেও হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে মর্যাদা বাঁচাল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে পেয়েগেল আত্মবিশ্বাস।