স্টাফ রিপোর্টার : মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে প্রথম স্ত্রীর আত্নহত্যার পর দ্বিতীয় স্ত্রী জুঁই আক্তার(১৯) নামে এ গৃহবধুর রহস্যেজনক মৃত্যূ হয়েছে।বুধরবার (২৭এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আরধীপাড়া কানাইনগর এলাকায় এ রহস্যেজনক মৃত্যূর ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী জুই আক্তার(১৯)এর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। নিহত জুই আক্তার ঐ এলাকার শাকিল এর দ্বিতীয় স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫মাস পূর্বে নিহত জুই আক্তার(১৯) এর সাথে একই এলাকার মৃত রব শেখের ছেলে শাকিল(২৫) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই জুই আক্তারের সাথে তার স্বামী ও শ্বশুরী মাজেদা বেগমের পারিবারিক ঝগড়া চলে আসছিল। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্বশুরীর সাথে জুইয়ের কথাকাটাকাটি হয়। বিকেল ৩টার দিকে স্বামীর বসতবাড়ীর উত্তর পাশে টিনের বেড়া বেষ্ঠিত গোসল খানার আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে জুইকে ঝুলন্ত দেখে স্বামী শাকিল ও সিয়াম তাকে নিচে থামিয়ে পাশেই আত্নীয় কামরুলের বসত ঘরে নিয়ে যায়। ঐখান থেকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোঘনা করেন।
নিহত জুইয়ের ভাই জাহিদুল জানান, ওরা আমার ছোট বোন জুইকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এটা আত্নহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা। শার্কিলের প্রথম স্ত্রী আত্নহত্যা করায় তার সাথে আমার বোনের বিবাহ দিতে চাইনি। পরে ছেলের মামাসহ অন্যান্য আত্নীয় স্বজনরা লিখিত দেয় যে কিছু হবে কিছু হলে আমরা দায় নিব বলে আশ্বাস দিলে আমরা বিয়ে দেই।
নিহতের মা নজিমন বেগম জানান, শাকিলের ১ম বউ মিথিলা তাদের সাথে পারিবারিক কলহের কারনের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তার বাবার বাড়ীতে গিয়ে দুই সন্তান রেখে আত্নহত্যা করার ৬মাস পর শাকিলের মামারা আমার মেয়ে জুইকে শালিকের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্ত আমরা বিয়ে দিতে চাইনি। এক রকম জোড় করেই তার মামারা আমার মেয়েকে নিয়ে বিয়ে দেয়।
শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয়রা সংবাদ দিলে আমি ঘটনাস্থলে এসে জুইয়ের লাশ উঠানে দেখতে পাই। তাদের মধ্য যে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল তার আমার কাছে জানায়নি।
শ্রীনগর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) শান্তি দাস বলেন, এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যূ মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্ত রির্পোট পেয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।