সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিয়ের খবর দিয়েছেন নবদম্পতি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী মহানগরীর আসাম কলোনী এলাকায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নববধূর নাম ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১)। বাড়ি রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর বৌবাজার এলাকায়। স্বামীর নাম ফজলে রাব্বী (২৬)। তার বাড়িও রামচন্দ্রপুর বৌবাজার এলাকায়। তিনি ব্যবসা করেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা তাবাসসুম সাংবাদিকদের জানান, স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছেন তিনি। কেউ তাকে জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে আসেনি।
ফাতেমা বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসেছি। এখন শুনছি, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।
সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অপহরণ নাটক না সাজানোর জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন ফাতেমা। পরিবারের পক্ষ থেকে এই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করার জন্য তার ওপর অনেক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলে রাব্বী জানান, চার বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু ফাতেমার বাবা-মা বিয়ে দিতে চাননি। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এতেও প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে না পেরে ২০১৯ সালের দিকে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ফাতেমা সেখানে সংসার করতে পারেননি। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেড় বছর পর ২০২১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই বাড়িতে তার ওপর নির্যাতন চলছিল।
রাব্বী বলেন, এখন ফাতেমার পরিবার থেকে হয়তো অপহরণের মামলা করা হবে। পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করবে। জেল খাটতে হবে। এ সবই জানি। সবকিছুর জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখছি। আর আস্থা রাখছি ফাতেমার ওপর। তবে মামলা হলে পরে অন্ততঃ ফাতেমা আদালতে গিয়ে বলবে যে, কেউ তাকে অপহরণ করে আনেনি। প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই সে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বিয়ে করেছে।
এদিকে, জানতে চাইলে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতেই ফাতেমার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। তারা অপহরণের অভিযোগ আনছে। এ ব্যাপারে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দিতে এলে তো নিতেই হবে।
আবার একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে নিজের ইচ্ছায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সবকিছুই আইনগতভাবেই দেখা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।