প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের সন্তানের গায়ের রং কী হবে? দম্পতির প্রথম সন্তানের জন্মের আগে থেকেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম চর্চা ছিল এই প্রশ্ন। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন হ্যারি। তার মতে, এই প্রশ্ন উঠেছে মানেই ব্রিটিশ রাজপরিবার বর্ণবিদ্বেষী, এমনটা নয়।
২০২১ সালে ওপরা উইনফ্রের শোয়ে এসে হ্যারি-মেগান জানিয়েছিলেন, রাজপরিবারের একজন সদস্য বারবার করে তাদের সন্তানের গায়ের রং নিয়ে প্রশ্ন করতেন। সেখান থেকেই এই প্রশ্নের উৎপত্তি বলে মনে করেছেন রাজকুমার হ্যারি। তবে সেময় তারা রাজপরিবারের সেই সদস্যের নাম উল্লেখ্য করেননি।
কয়েকদিন পরেই প্রকাশিত হবে রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। তার আগেই একটি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। জীবনের একাধিক বিষয় নিয়েই তাকে প্রশ্ন করা হয়। মেগানের সঙ্গে তার প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের আগেই তার গায়ের রং নিয়ে প্রশ্ন তোলা-এই বিষয়টিকে হ্যারি কি বর্ণবিদ্বেষী বলে মনে করেন?
সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তরে হ্যারি পরিস্কারভাবে জানান, একেবারেই না। মেগানও এই প্রশ্নটিকে বর্ণবিদ্বেষী বলে ভাবেনি। আসলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছিল।
হ্যারির মতে, অবচেতনেই বিশেষ কোনও জিনিসের প্রতি পক্ষপাতিত্ব তৈরি হয়। সেখান থেকেই কৌতূহল জাগে, রাজপরিবারের সদস্যের গায়ের রং কি হতে চলেছে।
হ্যারি বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বর্ণবিদ্বেষ আর পক্ষপাতিত্বের মধ্যে অনেক তফাত আছে।
প্রসঙ্গত, ওপরা উইনফ্রের শোয়ে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, বর্ণবিদ্বেষী আচরণ সমর্থন করে না রাজপরিবার।
আগামী ১০ জানুয়ারি প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী এই বই প্রকাশিত হবে। কিন্তু বইটি বাজারে আসার আগেই স্পেনে কিছু বই বিক্রি হয়ে গেছে এবং অনেক তথ্য কী করে ফাঁস হয়ে যায়। এছাড়াও বই প্রকাশের আগে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রিন্স হ্যারি। যেখানে বাবা চার্লস ও ভাই প্রিন্স উইলিয়াম সর্ম্পকে আরও ভয়াবহ অভিযোগ করেন প্রিন্স হ্যারি।
নিজের আত্মজীবনীতে প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, তার বাবা কিং চার্লস তাকে ঠাট্টা করে বলেছিলেন, কে বলতে পারে আমি তোমার সত্য়িকারের বাবা কিনা।
এছাড়াও হ্যারিকে দাবি করেন, তার কলার চেপে ধরে তাকে নাকি মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি