রাজশাহী প্রতিনিধি ;-ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সভাপতি মামুন ফরাজী বলেছেন, আমাদের দেশের সাংবাদিকেরা এমন ব্যস্ত জীবন কাটান, তাদের যে সংসার আছে সেটা ভুলে যান।
তিনি বলেন, ‘তাদের (সাংবাদিকদের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। দিনে কিংবা রাতে যেখানে যে ঘটনাই ঘটুক, তাকে ছুটে যেতে হয়। এভাবে তারা প্রতিদিন ব্যস্ত রুটিন কাটান৷ তাদের যে সংসার আছে সেটাও ভুলে যান।’
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডিএসইসি প্রথমবারের মতো আয়োজন করে ‘লেখক সম্মাননা-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডিএসইসি সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও দেশের বিশিষ্ট কবি-লেখক ও সাংবাদিকরা।
ডিএসইসি সভাপতি বলেন, সমাজের বুকে যখন দমন-পীড়ন নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়, তখন কলম শাণিত করে সাংবাদিকরা উচ্চারণ করেন প্রতিবাদের ভাষা। এর মাধ্যমেই সাংবাদিকরা ন্যায়বোধ প্রতিষ্ঠা করতে চান, দূরীভূত করতে চান অন্ধকার। যার কারণে অনেক সময় ভুলে যেতে হয় সংসার জীবন।
সাব এডিটররাই হলেন একটি সংবাদের রূপকার মন্তব্য করে লেখক সম্মাননা উপকমিটির আহ্বায়ক কবির আলমগীর বলেন, আমরা (প্রতিবেদক) মাল-মশল্লা এনে রেডি করে দেই। তারা (সহকারী সম্পাদক) সেটি রান্না করেন। আর সেই রান্নার ওপরেই নির্ভর করে সেটি কতটা পরিবেশনযোগ্য। সুতরাং এই সহকারী সম্পাদকের ওপরেই একটি সংবাদ পরিপূর্ণতা লাভ করে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যেতে হবে। লেখালেখি একজন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সমাজের নানা অসংগতি, ভালো মন্দ লেখালেখির মাধ্যমেই উঠে আসে। অনেক বড় বড় লেখকের পেশা ছিল সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা করেও বড় লেখক হওয়ার অনেক রেকর্ড আছে। যার উদাহরণ হিসেবে মারকেসের কথা বলা যায়৷
দেশ, জাতি, সমাজের কাছে লেখক ও সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতার বিষয়টি পরিষ্কার মন্তব্য করে রাসিক মেয়র বলেন, আমি বিশ্বাস করি একজন সৃষ্টিশীল মানুষ কখনও জেনেশুনে অন্যায় করতে পারেন না। অন্যায় দেখে চুপ থাকার প্রশ্নও আসে না। এই কারণে লেখক ও সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের বিবেক।
তিনি বলেন, সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতার পরিধি অনেক বেশি। আপনারা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পত্রিকার পাতায় তুলে আনেন নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতির খবর। আপনাদের কলমে উঠে আসে যুক্তিবোধের নানা অনুষঙ্গ। এই কারণে লেখক সমাজনিষ্ঠ একজন সৈনিক।