ঢাকা , সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আজ দেবিদ্বারে লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নাজমুলের মৃ*ত্যু দেশে এখন ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ দীঘিনালায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ১ লাখ টাকা জরিমানা কাপ্তাইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিতেই রাজি এনসিপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন অপরিহার্য: মিয়া নূরউদ্দিন আহাম্মেদ অপু নির্বাচনের তফসিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার চিন্তা করছে সরকার

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে বিএনপিকে একমত হওয়ার আহ্বান আখতারের

সাংবাদিক

নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেও দল নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপিকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ২০তম দিনের বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পর সাময়িক বিরতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

আখতার বলেন, আমরা গত ৫০ বছর ধরে দেখে এসেছি, বাংলাদেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় নিয়োগের কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড় করানো যায়নি। নির্বাচন কমিশনে যদি অতীতে দল নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ করা হতো, তাহলে বাংলাদেশের ১৪, ১৮ এবং ২৪ এর মতো একতরফা বিনা ভোটের নির্বাচন সম্ভব হতো না। সেই নির্বাচন কমিশনার কিন্তু এক দলের কাছে দায়বদ্ধ না থেকে গোটা জাতির কাছে দায়বদ্ধ থাকতেন।

তিনি বলেন, সেই জায়গাটা যদি বিএনপি বুঝে থাকে, বিএনপি এটা অবশ্যই বুঝেছে। কারণ সবচেয়ে বেশি তারাই অত্যাচারের শিকার হয়েছে। ক্ষমতা থেকে তাদের দীর্ঘ সময় বাইরে রাখা হয়েছে। সেটি যদি বিএনপি বুঝতে পারে যে, নির্বাচন কমিশন একটি দল নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত। তাহলে বাকি বিষয়গুলো কেন বিএনপি বুঝতে চাচ্ছে না। এটি আমাদের প্রশ্ন।

এনসিপির সদস্য সচিব প্রশ্ন তুলে বলেন, বিএনপি নির্বাচন একতরফা হওয়ার কারণে ক্ষমতায় যেতে পারেনি, সেগুলোতে ভুক্তভোগী হয়েছে। এ কারণে শুধু নির্বাচন কমিশনের দল নিরপেক্ষ বডির ব্যাপারেই তারা একমত হবেন। আর বাকি যে বডিগুলো আছে (সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক বা ন্যায়পাল) সেগুলোতে তারা ভুক্তভোগী না হওয়ায় একমত হবেন না। বিষয়টি কি এভাবেই আমাদের কাছে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের একটি দল নিরপক্ষ বডির ব্যাপারে একমত হয়েছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করেই তারা এটি করেছেন। এটা এমন কোনো ব্যাপার না যে, এই নিয়োগ কমিটিগুলোতে যদি তারা একমত হন তাহলে তাদের দলীয় আদর্শের কোনো পরিবর্তন করতে হয়। যেহেতু এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সেহেতু নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দল নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটির জন্য বিএনপি নেতারা একমত হবেন। আমরা তাদের প্রতি এ আহ্বান জানাই।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠক থেকে সাময়িক সময়ের জন্যে ওয়াকআউট করে বিএনপি।

আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল, সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান এবং সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
৬৩৩ Time View

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে বিএনপিকে একমত হওয়ার আহ্বান আখতারের

আপডেটের সময় : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেও দল নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপিকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ২০তম দিনের বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পর সাময়িক বিরতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

আখতার বলেন, আমরা গত ৫০ বছর ধরে দেখে এসেছি, বাংলাদেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় নিয়োগের কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড় করানো যায়নি। নির্বাচন কমিশনে যদি অতীতে দল নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ করা হতো, তাহলে বাংলাদেশের ১৪, ১৮ এবং ২৪ এর মতো একতরফা বিনা ভোটের নির্বাচন সম্ভব হতো না। সেই নির্বাচন কমিশনার কিন্তু এক দলের কাছে দায়বদ্ধ না থেকে গোটা জাতির কাছে দায়বদ্ধ থাকতেন।

তিনি বলেন, সেই জায়গাটা যদি বিএনপি বুঝে থাকে, বিএনপি এটা অবশ্যই বুঝেছে। কারণ সবচেয়ে বেশি তারাই অত্যাচারের শিকার হয়েছে। ক্ষমতা থেকে তাদের দীর্ঘ সময় বাইরে রাখা হয়েছে। সেটি যদি বিএনপি বুঝতে পারে যে, নির্বাচন কমিশন একটি দল নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত। তাহলে বাকি বিষয়গুলো কেন বিএনপি বুঝতে চাচ্ছে না। এটি আমাদের প্রশ্ন।

এনসিপির সদস্য সচিব প্রশ্ন তুলে বলেন, বিএনপি নির্বাচন একতরফা হওয়ার কারণে ক্ষমতায় যেতে পারেনি, সেগুলোতে ভুক্তভোগী হয়েছে। এ কারণে শুধু নির্বাচন কমিশনের দল নিরপেক্ষ বডির ব্যাপারেই তারা একমত হবেন। আর বাকি যে বডিগুলো আছে (সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক বা ন্যায়পাল) সেগুলোতে তারা ভুক্তভোগী না হওয়ায় একমত হবেন না। বিষয়টি কি এভাবেই আমাদের কাছে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের একটি দল নিরপক্ষ বডির ব্যাপারে একমত হয়েছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করেই তারা এটি করেছেন। এটা এমন কোনো ব্যাপার না যে, এই নিয়োগ কমিটিগুলোতে যদি তারা একমত হন তাহলে তাদের দলীয় আদর্শের কোনো পরিবর্তন করতে হয়। যেহেতু এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সেহেতু নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দল নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটির জন্য বিএনপি নেতারা একমত হবেন। আমরা তাদের প্রতি এ আহ্বান জানাই।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠক থেকে সাময়িক সময়ের জন্যে ওয়াকআউট করে বিএনপি।

আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল, সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান এবং সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব।