ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ২৫০টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও ১২শ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
এছাড়া দুর্যোগকালীন জরুরি যোগাযোগের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঝড়ের আগেই মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা রশিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আরিফুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা, শ্যামনগরের ইউএনও আক্তার হোসেন, আশাশুনির ইউএনও ইয়ানুর রহমান, তালার ইউএনও প্রশন্ত কুমার বিশ্বাস, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ, জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা জুলফিকার আলী রিপনসহ প্রত্যেক ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।