সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। আজ থেকে প্রতি কেজি ২৭ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। এ অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কেউ লাইসেন্স ছাড়া ধান কিনে অবৈধভাবে মজুদ করতে পারবেন না। কে কতটুকু ধান কিনছেন, কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রি করছেন, তা খাদ্য বিভাগকে জানাতে হবে। খাদ্য কর্মকর্তাদের এসব তথ্য নিয়মিত অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
অবৈধভাবে কেউ মজুদ করছে কিনা, তা কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও চাল সংগ্রহ হবে ৭ মে থেকে। ৭-১৬ মের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে মিল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। কোনোভাবেই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বাড়ানো হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, সংগ্রহ অভিযান সফল করতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার।
এ সময় ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল বিভাগের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ থেকে জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিরা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। গুদামে ধান দেওয়ার সময় কৃষকরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ধান এবং চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।