মোঃ নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, মানিকগঞ্জ:
এক সময়ের বিএনপি জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের শক্তিশালী দূর্গ হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জ জেলা কে আওয়ামী লীগের ঘাটিতে রুপান্তর করার কারিগর হিসেবে যে কয়জন আওয়ামী লীগ নেতা ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে আলহাজ্ব সুলতানুল আজম খান আপেল অন্যতম একজন।
১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কাল রাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দু্ই কণ্যা ব্যতিত স্বপরিবারে সকল কে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মানিকগঞ্জে তাদের সাম্রাজ্য তৈরি করে।স্বাধীনতা বিরোধীদের মদদপুষ্ঠ বিএনপির ধানের শীষের ভরাডুবি করে আওয়ামী লীগের নৌকার পাল উড়ানোর এই দূর্গম পথ পাড়ি দেওয়া এতটা সহজ ছিলনা তাদের জন্য।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব দাশড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মরহুম আফতাব উদ্দিন খান ও মরহুমা মাসুমা আক্তার দম্পতির ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন আলহাজ্ব সুলতানুল আজম খান আপেল।তবে তার পূর্ব পূরুষদের বসতভিটা মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বড়াইদ গ্রামে।তারা তিন ভাই ও তিন বোন, ভাইদের মাঝে তিনি জেষ্ঠ্য। তার পুরো পরিবার মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে।তার সকল বোন বিবাহিত এবং গৃহিনী। ভাইদের মধ্যে কনিষ্ঠ তারিক খান পেশায় একজন ব্যবসায়ী, ১৯৯৫ সালে তিনি পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।সর্বকনিষ্ঠ ভাই মাহবুবুল হক খান খালিদ ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে তিনি জেলা যুবলীগের আহবায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে সুলতানুল আজম খান আপেল বিবাহিত এবং তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। পেশাগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
ছাত্র জীবনে তিনি মানিকগঞ্জ মডেল হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হন। বাল্যকাল থেকেই পরোপকারী ও মেধাবী স্বভাবচেতা আপেল স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে আগমনের পরবর্তী সময়ের এই দূঃসাহসিক অভিযাত্রায় বহু ঘাত প্রতিঘাত ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সেই দিনের সেই ছাত্র নেতা আজ মানিকগঞ্জের বুকে কৃষক- শ্রমিক-ছাত্র-জনতা সহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে জনতার নেতা হয়ে উঠেছেন।
রাজনৈতিক পরিচয়:
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি ১৯৭৮-৮০ সাল পযন্ত মানিকগঞ্জ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি এরপর তিনি ১৯৮০-৮৬ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৮৭-৯১ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ক্যারিশম্যেটিক রাজনৈক দক্ষতার ফলে ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে সর্ব সম্মতিক্রমে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেন। দায়িত্বভার গ্রহণের সাথে সাথে মানিকগঞ্জে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের গণজোয়ার তৈরি করেন আর যার ফলশ্রুতিতে তিনি বহুবার কারাবরণ করেন।কিন্তু কারাগারের চার দেয়ালে তাকে বন্দি করে দমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি। কারামুক্ত হয়েই আবারো ছাত্র জনতাকে একত্রিত করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলমান রাখেন।
১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত জেলা যুবলীগের সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সেলিম এর উপস্থিতিতে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। যুবলীগের দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই তিনি মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময় কালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ২৫ বছর পরে ১৯৯৬ সনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করলেও মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসন গুলোতে পরাজিত ই থেকে যায়। ব্যর্থতার এই গ্লানি কে সফলতায় রুপ দিতে সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানিকগঞ্জে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে প্রতিহত করার লড়াইয়ে নিজের সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন সুলতানুল আজম খান আপেল।
২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোট আবারো সরকার গঠন করলে আওয়ামী নেতাদের ওপর নির্যাতনের হুলিয়া নেমে আসে। দিনের পর দিন বিএনপি জামাত জোটের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনীর রক্তচক্ষু ও নির্যাতন উপেক্ষা করে এক বোঝা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে প্রতিটি উপজেলার গ্রামে-গঞ্জে আনাচে-কানাচে আওয়ামী রাজনীতি সুসংগঠিত ও তরুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বীজ বপণ করার মাধ্যমে দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার জন্য অহর্নিশী পরিশ্রম করে গেছেন।
আর এই অদম্য তরুন নেতার দুঃসাহসিক কর্মকান্ডে ভীত সন্তস্ত্রহয়ে ক্ষমতাসীনরা তাকে আবারো কারাগারে বন্দি করে। আর প্রতিবারই কারামুক্ত হয়েই যুবসমাজের নয়ন মনি খ্যাত আপেল তার অনুগত একঝাক শক্তিশালী কর্মীদের নিয়ে মানিকগঞ্জের বুকে নৌকার পাল উড়ানোর সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন।
দীর্ঘ এই লড়াই সংগ্রামে বহুবার করাবরণ, নির্মমনির্যাতন, জেল জুলুম সহ্য করে মাথা উঁচু করে টিকে থাকার পড়ে যখন ২০০৭ সালে সেনা শাসিত তত্তাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পরে শর্ত ভঙ্গ করে নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করার নীল নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সারা দেশে দলমত নির্বিশেষে রাজনৈকিত দলের নেতা কর্মীদের ওপর হুলিয়া জারি করে নির্যাতন ও গণ আটক শুরু করে তখনও আপেল তার বিদ্রোহী ভূমিকায় রাজপথে অবস্থান গ্রহণ করেন। অবৈধ সেনা সরকার যখন মিথ্যা মামলায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গনতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করেন তখন মানিকগঞ্জে মূল দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত অনেক প্রভাবশালী নেতারা প্রাণভয়ে রাজপথ ত্যাগ করে সটকে পড়েন। কিন্তু শেখ হাসিনা আটকের পরদিন ই আওয়ামী লীগ নেতা আপেল তার নেত্রীর মুক্তির দাবিতে ছাত্র ও যুব নেতাদের নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ কে কার্যত অচল করে দেন। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের পাওয়ার হাউজ হিসেবে আপেল কে চিহ্নিত করে তাকে আটক করেন এবং দীর্ঘদিন তাকে বন্দি করে রাখা হয়। পরবর্তীতে কারামুক্ত হয়েই সম্মুখ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার প্রত্যয় নিয়ে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়েন।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুপূর্ণ নেতাদের সাথে তরুন নেতা আপেল ও আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল স্বরুপ ও সাধারণ জনগণ কর্তৃক ২০০৮ এর নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী জোটের শোচনীয় পরাজয়ে মানিকগঞ্জের সবগুলো সংসদীয় আসন আওয়ামী জোটের খাতায় যুক্ত হয়।
সেনা শাসনের কবল থেকে ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী জোট সরকার গঠন করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিষণ ২০২১ বাস্তবায়নে সকল নির্দেশ সঠিক ভাবে পালন ও সরকারে উন্নয়নের গল্প কথা জনসাধারণের মাঝে পৌছে দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারে ভাবমূর্তি উজ্বল ও মানিকগঞ্জের উন্নয়ন কল্পে সচেষ্ট ভূমিকা রাখার নতুন এক যাত্রার শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালে আলহাজ্ব সুলতানুল আজম খান আপেল মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তরুন সমাজের আইডল হিসেবে রাজনৈতিক দূরর্শিতার ফলে চমৎকার নেতৃত্বগুন সম্বলিত সুলতানুল আজম খান আপেল এর হাত ধরে মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সিংহভাগ নেতাকর্মীর রাজনৈতিক জীবনের সুচনা হয়। তার হাতে হাত রেখে রাজনৈতিক জীবনের পথচলার শুরু করা অনেক কর্মীরাই এখন রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
২০০৮ সনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দলের ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন ও রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। মানিকগঞ্জের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা সব সময় অব্যাহত ছিল তার। বিভিন্ন সময়ে ঝড় বন্যা জলোচ্ছাস কিংবা কোন দূর্যোগ আওয়ামী লীগের হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে ছুটে গিয়েছেন এই নেতা।
আলহাজ্ব সুলতানুল আজম খান আপেল মানিকগঞ্জ পৌরসভার জন সাধারণের অনুরোধে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়ের পদে প্রতিদন্দিতা করার ইচ্ছা পোষন করলে ব্যপক জনসমর্থনলাভ করে। নির্বাচনের প্রক্কালেমানিকগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের সমর্থন লাভ করে এবং আওয়ামী লীগের মেয়র পদে নমিনেশন লাভের জন্য কেন্দ্রেসুপারিশ প্রাপ্ত হয়। নির্বাচনে জয় লাভের শতভাগ নিশ্চয়তা এবং ব্যপক জন সমর্থন থাকার পড়েও দলিয় হাই কমান্ডের সিগ্ধান্ত মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ থেকে সড়ে দাড়ায়।
সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে শেখ হাসিনার মনোনিত সাংসদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন।
সামাজিক পরিচয়
মানিকগঞ্জ জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরপর চার বার জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে মনোনিত হয়েছেন। তিনি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সময়ে তিনি পরপর তিন বার মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা ডেভলপার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মানিকগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রির ০৩ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত পরিচালক হিসেবে সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মানিকগঞ্জ পৌরসভার মত্ত হাই স্কুল ও সাটুরিয়া উপজেলার জান্না উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সভাপতি, জেলা নাগরিক ও পেশাজীবি ঐক্য পরিষদের মনোনিত সভাপতি হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ও গ্রামে তার সাধ্য মত সাধারণ মানুষের আপদে বিপদে পাশে থাকেন।
২০২০ সালের মার্চের শুরুতে যখন করোনা মহামারি নামক একটি ব্যাধি সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও হানাদেয় তখন মহামারি কবল থেকে রক্ষা পেতে হঠাৎ করেই সরকারে গ্রহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক লকডাউনে সবাই ঘরবন্দি তখন কর্মহীন দরিদ্র পৌরবাসীর কথা মাথায় রেখে সুলতানুল আজম খান আপেল নীজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দিতে সারা বাংলাদেশে সর্ব প্রথম একটি হট লাইন নম্বরে ফোন কল গ্রহণ করে বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে খাবার পৌছে দেয়ার মত মহৎ উদ্দ্যোগ নেয়। সে বছর পৌর এলাকার প্রায় ১৪ হাজার পরিবারে মাঝে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ বিতরণ করেন এবং পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমন রোধে জন সচেতনতা তৈরী এবং স্বাস্থ্য বিধি পালনে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ সহ ব্যাপক ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন। সমাজের আর দশ জন যখন প্রাণভয়ে ঘরের ভেতর তখন করোনা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তালিকা করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সহায়তা, শিশু খাদ্য, বৃদ্ধদের ঔষধ ও নগদ অর্থ প্রদান করে ব্যাপক প্রশংসা ও দোয়া পেয়েছেন। লকডাউনে গাড়ী চলাচল বন্ধ পৌর এলাকার প্রসূতি মা ও বয়োবৃদ্ধ রোগীদের কথা মাথায় রেখে তিনি হট লাইন সেবায় তার নিজ খরচে এম্বুলেন্স সেবা প্রদান চালু করেন। যা গত লকডাউনের পুরো সময় জুড়ে পৌরবাসীদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান করে। ডেঙ্গু সংক্রমন রোধে তিনি পথের ধারে রাত্রিযাপন করা গৃহহীনদের মাঝে মশারী, কয়েল এবং নিজ উদ্দ্যোগে পৌর এলাকায় ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিরোধক ঔষধ ছিটানোর ব্যাবস্থা করেন। প্রতি শীত মৌসুমেই তিনি দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকেন। ২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনা সংক্রমন কালে অদ্যবধি তিনি অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা কাযক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের সূচনালগ্ন থেকে অদ্যবধি এই দীর্ঘ পথ চলায় মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সফলতা প্রদান করেছেন। আমার এই পথ চলায় মা বাবার দোয়া কে পুজি করে সকলের নিকট সব সময় সবটুকু দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জনের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সাধারণ মানুষের মনে নিজের জন্য ভালবাসার স্থান তৈরি করে নিতে চেষ্টা করে গেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সবটুকু আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অবিচল। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে তাদের জন্য নানাবিধ কল্যানধর্মী কাজগুলো অব্যাহত রেখে জনসাধারণ ও দলীয় নেতা কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সামনে ২৪ নভেম্বরের মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আমি আশা করি কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ্র তৃণমূলের চাহিদা ও সমর্থনের কথা মাথায় রেখে আমাকে দলের এই মহান দায়িত্ব অর্পণ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।