ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ২১৫ কোটি ১০ লাখ টাকার সয়াবিন তেল ও চিনি কিনবে সরকার। এর মধ্যে ১৪৮ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকার সয়াবিন তেল ও ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার চিনি কেনা হবে। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা ও প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৪৬ টাকা ১০ পয়সা।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের স্মার্ট মেট্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট মার্ক লাইন এন্টারপ্রাইজ) থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা। টিসিবির জন্য এ চিনি কেনা হবে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভারতের গোভেন ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেড (এইচ এইচ এন্টারপ্রাইজ) থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১৪৮ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৪৬ টাকা ১০ পয়সা। এ সয়াবিন তেলও টিসিবির জন্য কেনা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি ও ক্রয়-কমিটির অনুমোদনের জন্য আটটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয়ের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পাঁচটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিলো।
তিনি আরো বলেন, ক্রয়-কমিটির অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ তিন হাজার ২০৯ কোটি ৫০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে তিন হাজার ১০০ কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৭ টাকা এবং এডিবি অর্থায়ন ১০৯ কোটি এক লাখ ২৮ হাজার ৮২৭ টাকা।