পাহাড়-সমুদ্র-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির কারণে ভ্রমণপ্রিয়দের অন্যতম গন্তব্য ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক সেখানে ভিড় করেন। ভ্রমণের পাশাপাশি পর্যটকদের থাকতে আগ্রহী করে তুলতে এবার নতুন ভিসা সুবিধা নিয়ে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। বিদেশিদের সর্বোচ্চ ১০ বছর থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা চালু করেছে দেশটি।
ঘোষিত নতুন নিয়মে পাঁচ ও ১০ বছরের জন্য ‘সেকেন্ড হোম’ ভিসা দেবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি। তবে শর্ত হলো, আগ্রহীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ২০০ কোটি রুপিয়া (১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার) থাকতে হবে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মতো। অর্থাৎ, কোটিপতি হলেই আকর্ষণীয় বালি দ্বীপে ১০ বছর বসবাসের সুযোগ পাবেন বিদেশিরা।
ইন্দোনেশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অভিবাসন মহাপরিচালক উইদোদো একাতজাহজানার বরাত দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম জাকার্তা গ্লোবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সেকেন্ড হোম’ ভিসা চালু করছি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পর্যটনসমৃদ্ধ বালি ও অন্যান্য এলাকায় আরও বিদেশিকে আকৃষ্ট করা।
ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই দীর্ঘমেয়াদী ভিসা বিদেশি ও সাবেক ইন্দোনেশীয় নাগরিকদের (যারা পরে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন) জন্য করা হয়েছে। যেন তারা দেশটির অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন। এই ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অন্তত ২০০ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (১ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার) ব্যাংকে জমা রাখার প্রমাণ দেখাতে হবে। আগ্রহীদের পাসপোর্টে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকে অন্তত ৩ বছরের মেয়াদ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ডিজিটাল যাযাবরদের আকর্ষণ করতে ইন্দোনেশিয়া বিশেষ ভিসা চালুর পরিকল্পনা করেছিল ২০২১ সালে। আর তা ছিল বালি দ্বীপকে কেন্দ্র করেই। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ায় আন্তর্জাতিক অবকাশযাপনকারীদের শীর্ষ গন্তব্য এবং দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।