Friday , 3 May 2024
শিরোনাম

টুঙ্গিপাড়ার রাঙ্গা মিয়া’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাবেক সভাপতির বীর মুক্তিযোদ্ধা এবাদুল হক শেখ (রাঙ্গা মিয়া) এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাদের শোকবার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য এবাদুল হক শেখ গত রাতে গোপালগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

 

তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আসল নাম এবাদুল হক শেখ, ভালবেসে মানুষ নাম দিয়েছে রাঙ্গা মিয়া। ভালবাসার নামেই তিনি পরিচিত আজ। এক বর্ণাঢ্য জীবনের পার করে প্রৌঢ়ত্বে উপনীত হয়ে ১০২ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

জীবনে যখন যেখানে হাত দিয়েছেন সোনালি সাফল্য ধরা দিয়েছে তার কাছে। ছোটবেলায় সহচর ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর।  মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শ লালন করে সুস্থ থাকা পর্যন্ত পালন করেছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতির দায়িত্ব।

 ১৯৭১…..

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলছে…….আসেপাশের গ্রাম থেকে মানুষ এসে উঠেছে টুঙ্গিপাড়ার চর কুশলি গ্রামে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভালবাসার রাঙ্গা মিয়া চালু করলেন লঙ্গর খানা, নিজ বাড়িতেই। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ  ….সাধারনের সার্বিক অংশগ্রহনে এভাবে রূপ নেয় ‘মুক্তিযুদ্ধে’।

 ব্যাক্তিগত জীবন

কখনো ডিলারশীপ,কখনো মুদি-মনোহরী আবার কখনো শখেরবশে বর্ণির বাওর(মাছের জন্য বিখ্যাত এবং নিলামে ডাক হত)ও ডেকে নিতেন।

ব্যবসায়ে সাফল্য ছিল কিন্তু কৃষক সত্তা মননে ছিল সবসময়। তার বাড়ির উঠান ফসল ভরা ফসল ছিল সবসময়, তিনি নিজ হাতে গোয়ালের গরুর পরিচর্যা করতেন আর নিজের প্লেটের খাবার রেখে দিতেন নিজেরই পোষা কুকুর ও বিড়াল এর জন্য।

তিন কন্যা ও সাত পুত্রের জনক জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পরম মমতায় তার সন্তান ও নাতি-নাতনি দের আগলে রেখেছেন।

তার স্ত্রীর মারা যাওয়ার পর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকেন, জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত অসুস্থতা নিয়ে নিজ প্রিয় গ্রামে নিজ বাড়িতে ‘ জাহানারা আলয়ে’ বসবাস  ছিল তার। শখ ছিল গান শোনার। এক সময়ে কলের গানে গান শুনেছেন, ধুতি পড়ে ছড়ি হাতে ঘুরে বেড়িয়েছেন এ পাড়া থেকে ওপাড়া।

স্ব-শিক্ষিত রাঙ্গা মিয়া প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল। মানুষকে খাওয়াতে পছন্দ করতেন, সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছেন  বিপদ গ্রস্থ মানুষের।

আপন আলোয় উদ্ভাসিত রাঙ্গা মিয়া সকলের কাছে এক বাতিঘর, সরল জীবন যাপন করার উৎসাহ। মহান আল্লাহপাক তাকে জান্নাত দান করুন৷ আমীন।

Check Also

নরসিংদীতে গারদে আটক বন্দীকে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ নরসিংদী জেলা নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত গারদখানার এক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x