আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০১৮ নির্বাচনে ইমরানের দলকে খোলামেলা সাপোর্ট দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। এ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগও ছিল বিস্তর। পাকিস্তান পার্লামেন্টের এমন টালমাতাল অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে সেই সেনাবাহিনী নিয়েই।
পাক সেনার তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলতি রাজনৈতিক টানাপড়েনের অংশীদার হবে না তারা। পাক সেনার ‘ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস’ (আইসিপিআর)-এর ডিরেক্টর মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার সোমবার বলেন, ‘‘স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সেনার কোনও ভূমিকা নেই।’’
তাতে কি আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সন্দেহ ঠেকানো যায়! ২০১৬-র নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন জেনারেল বাজওয়া। ২০১৯-এর আগস্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান ৩ বছরের জন্য সেনাপ্রধান পদে তার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। আগামী নভেম্বরে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। জানা যায়, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ডিজি পদে নিয়োগ ঘিরে মতবিরোধের জেরে বাজওয়ার মেয়াদ দ্বিতীয় বার না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরান।
প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সুপারিশে ২০১৮-র জুনে আইএসআই-এর ডিজি পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদকে নিয়োগ করেছিলেন জেনারেল বাজওয়া। গত নভেম্বরে তিনি হামিদকে সরিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থার দায়িত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ অঞ্জুমকে। যদিও ইমরান চেয়েছিলেন হামিদকে বহাল রাখতে। পরে একটি সাক্ষাৎকারে আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে বাজওয়ার সঙ্গে তার মতবিরোধের কথা স্বীকারও করেছিলেন ইমরান।
আর এতেই ইমরানের আঁতে ঘা! মেয়াদ না বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়ার পরই ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের তৎপরতা বেড়েছে। গত দু’সপ্তাহে যে ভাবে একের পর এক সহযোগী দল ইমরানের ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর সঙ্গ ছেড়েছে, পাক ফৌজের ‘ভূমিকা’ ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।