সৌদি আরবের উপকূলীয় শহর জেদ্দায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বন্যায় কমপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বন্যার কারণে কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবগুলো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে এবং স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কতৃপক্ষ। এছাড়াও বন্যার ফলে মক্কা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পরে এটি আবার চালু করা হয়েছিল।
মক্কা আঞ্চলিক সরকার এক টুইট বার্তায় বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়াও শুক্রবার সারা দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি অনুসারে, জেদ্দার দক্ষিণাঞ্চলে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা রেকর্ড করা সর্বোচ্চ। এটি ২০০৯ সালে নিবন্ধিত বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে যখন আকস্মিক বন্যায় কয়েক ডজন লোক মারা গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা গাড়িগুলি বন্যার পানির প্রবল স্রোতের মধ্যে দিয়ে রাস্তায় ভেসে যাচ্ছে।
এসপিএ জানিয়েছে, ছাত্রদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য রাবিঘ এবং খুলাইস শহরের কাছের শহরগুলিতেও স্কুলগুলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের জয়ে বাদশাহ সালমান ছুটি ঘোষণা করার পরে বুধবার দেশব্যাপী স্কুলগুলো আগে থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কতৃপক্ষ আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে, কিছু ফ্লাইটের বিলম্বিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যাত্রীদের আপ-টু-ডেট সময়সূচীর জন্য ক্যারিয়ারের সাথে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, লোহিত সাগরের কাছাকাছি অবস্থিত শহর জেদ্দায় প্রায় চল্লিশ লক্ষ লোকের বসবাস। যাকে ‘মক্কার প্রবেশদ্বার’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর হজ এবং ওমরাহ করতে আসে। তবে প্রায় প্রতি বছরই শীতের ঝড় এবং বন্যা হয় জেদ্দায়। যেখানে বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল অবকাঠামোর জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।২০০৯ সালে শহরে বন্যায় ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সূত্র: মিডেল ইস্ট আই